
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ২৪, ২০১৯ | |
রেলের যাত্রীসেবা বাড়ানোর জন্য এ বছর থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট রেলওয়ের অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, টিকিটের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। অ্যাপে টিকিট না পেয়ে কাক্সিক্ষত টিকিটের আশায় আবার গিয়ে দাঁড়িয়েছেন কমলাপুরসহ অন্যান্য টিকিট কাউন্টারে। বৃহস্পতিবার সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই স্টেশনের খোলা জায়গায়। প্রতিটি লাইন দীর্ঘ হয়ে চলে গেছে স্টেশনের বাইরের খোলা মাঠে। লাইনের শুরু দেখা গেলেও কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে তা বের করা কঠিন। এরপরও টিকিট নামের সোনার হরিণটি পাওয়ার আশায় বুধবার গভীর রাত থেকেই স্টেশনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। বারবার চেষ্টা করলেও নানা জটিলতা দেখাচ্ছে। জানতে চাইলে রাজশাহীর টিকিট প্রত্যাশী ইয়াকুল আলী বলেন, দুই দিন ধরে অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে একটি টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ালেও চারটি টিকিট পেতাম। কিন্তু অ্যাপ থেকে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই ভোররাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
রংপুরের টিকিট প্রত্যাশী রিয়াজুল করিম বলেন, অ্যাপে চেষ্টা করার পরই লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু অ্যাপ শুধু ঘোরে। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে এই অ্যাপ সেবা চালু করা হয়েছে। বলা হয়েছে এর মাধ্যমে ঘরে বসে রেলের সেবা পাওয়া যাবে। এত প্রতারণা কেন? কেন অ্যাপ এমন সমস্যা করছে? এমন নিম্নমানের অ্যাপ কার স্বার্থে?
এর আগে বুধবার কমলাপুর স্টেশনে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী বলেন, অ্যাপে টিকিট পেতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অনলাইনে টিকিট দিতে না পারাটা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে যেসব টিকিট বিক্রি হবে না, আমরা পরবর্তী সময়ে তা কাউন্টার থেকে বিক্রি করব।
তিনি আরও জানান, নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড বাংলাদেশ (সিএনএসবিডি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে রেলের জন্য বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে আসছে। যদি তাদের কোনো গাফিলতি থাকে অবশ্যই আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে ঈদের সময় একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ হিট পড়ে। তবে সিএনএসবিডির যে সক্ষমতা তাতে মাত্র ২০ হাজার লোড নিতে পারে। যে কারণে সাধারণ মানুষ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এবার ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে তিন পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনের এসএমএসে, ওয়েবসাইট থেকে এবং রেলের টিকিট কাটার সবশেষ ফিচার অ্যাপের মাধ্যমে। ঢাকা থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেন মিলিয়ে দিনে প্রায় ৩০ হাজার ট্রেনের টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ রেলওয়ে কমকর্তা-কর্মচারী ও ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়া বাকি সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইন, এসএমএস ও অ্যাপে পাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৯টা থেকে কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রতিটি লাইনে মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেওয়া হয় ১ জুনের টিকিট। শুক্রবার ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট। ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুন এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |