প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শনিবার, মে ২৫, ২০১৯ | |
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে কয়েক মাসজুড়ে। এ অভিযানেরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর পশ্চিম তীর দখল করে গড়ে তোলা একটি চার তলা ও একটি দোতলা ভবন মঙ্গলবার গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশ, এ সময় ১৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দোতলা বাজারের ১৫টি দোকান উচ্ছেদের সময় অবৈধ দখলদাররা হামলার চেষ্টা চালালে পুলিশ ও আনসারদের প্রতিরোধে তা প- হয়ে যায়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মালপত্র সরিয়ে নিতে সময় বেঁধে দেন। জানা গেছে, মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৬ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আল মোস্তফা গ্রুপের চারতলা ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় দোতলা বাজারের ১০টি দোকান ও ইউনিক গ্রুপের দেওয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মাসখানেক ধরে চলা এ অভিযানে এরই মধ্যে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরের হাজার হাজার অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চারতলা, দোতলা পাকা ভবন, টিনশেড, স’ মিল, ডকইয়ার্ড, রড-সিমেন্টের গোডাউন কিছুই বাদ যায়নি। ঢাকার নদীবন্দরের আওতাধীন এলাকায় সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত নদীর দুই তীরে যত অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে, সব জঞ্জাল পরিষ্কার। অবৈধ দখলদারদের প্রভাব ও সব বাধাকে উপেক্ষা করে এভাবে অভিযান পরিচালনা করার জন্য নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখেন অভিযান পরিচালনাকারীরা। মনে রাখতে হবে, নদীর ওপর আগ্রাসন বন্ধ করা না গেলে পরিবেশসহ সার্বিক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটবে। এর ফলে সামান্য বৃষ্টি ও বর্ষণে জলাবদ্ধতা, পানি-বর্জ্য নিষ্কাশনে সমস্যাই শুধু দেখা দেবে না, বন্যাও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। সেই সঙ্গে শহর-বন্দরে মারাত্মক নদীভাঙন দেখা দেবে। এ ছাড়া নৌচলাচল পথ সংকুচিত হয়ে বড় শহর বা বন্দর গুরুত্বহীন হয়ে যাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তাই অবৈধ দখলদাররা যাতে উচ্ছেদ হওয়ার পর আবার পুনর্দখল করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি করতে হবে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে নজর দিলে দেখা যায়, সেখানে প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রেখে নগরায়ণ ঘটানো হয়েছে। তারা নদীগুলো শুধু রক্ষাই করেনি, তার শোভাবর্ধন করেছে, আরও বেশি চলাচল উপযোগী করেছে। পানির প্রবাহ হয়েছে ঝকঝকে-তকতকে স্বচ্ছ। অন্যদিকে বাংলাদেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র! নদীগুলো অবৈধ দখল আর দূষণের শিকার হওয়ায় নদীর পানি কালচে হয়ে আছে, যা দেশের মৎস্যসম্পদকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তেমনি পরিবেশের স্বাভাবিকতাও নষ্ট করছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ার মধ্য দিয়ে নদীগুলো তার পুরোনো শোভা ফিরে পাবে, নদী ফের পরিবেশ ও জনবান্ধব হবেÑ এমনটাই প্রত্যাশা। হ
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |