প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শনিবার, মে ২৫, ২০১৯ | |
কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আবদুস সালাম ও আবু সাঈদের বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে এক টন ধান ক্রয় করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সরাসরি কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ধান ক্রয় করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উচরং গ্রামের এক কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনেন তিনি। এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব, শাহবন্দেগি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল আমিন, প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান লিটন, সচিব ইকবাল হোসেন দুলালসহ উপজেলা ও খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। এদিকে সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষক বেশ খুশি। সুফলভোগী কৃষক আবদুস সালাম জানান, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ধানের দাম একেবারেই কম। প্রতি মণ ধান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন; কিন্তু সরকারের কাছে ১ হাজার ৪০ টাকায় ধান বিক্রি করতে পেরে বেশ খুশি। কারণ সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হতো তাকে। কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারের কাছে মাত্র এক টন ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। অথচ তিনি এবার বিশ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করে প্রায় ৬০০ মণ ধান পেয়েছেন।
এছাড়া গত বছরের ধান এখনও ঘরে রয়েছে। তাই বেশি ধান বিক্রি করতে পারলে ভালো হতো। তাদের মতে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করলে উপকৃত হবেন তারা। এমনকি আর লোকসান দিতে হবে না। এজন্য ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদ জানান, এরই মধ্যে এ উপজেলায় শুরু হয়েছে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ অভিযান। চলতি মৌসুমে ৬৩৫ টন ধান ক্রয় করা হবে। কৃষক কেজি প্রতি ২৬ টাকা ও মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা পাবে।
এছাড়া ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৫৯২ টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ২৫ টন আতপ চাল ও ২৮ টাকা কেজিতে ৬৩ টন গম ক্রয় করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, কৃষকের ন্যায্যমূল্য দিতে সরকার সরাসারি তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এতে কৃষক লাভবান হবে।
তবে সরকার যাতে আরও বেশি পরিমাণ ধান ক্রয় করে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের জানানো হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। যাতে করে সব কৃষককে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা যায় এবং তারা উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পান।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |