
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, মে ২৬, ২০১৯ | |
চলতি মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে লবণের। কিন্তু বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে চাষিরা। তারা বলছেন, তিন মাস আগে মাঠ থেকে যে লবণ বিক্রি করা হতো ২৮০ টাকা মন ওই লবণের দাম এখন অর্ধেকে নেমে ১৫০ টাকা হয়েছে। লবণের ন্যায্য দাম পেতে সরকারের সহোযোগিতাসহ লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ লাখ টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও উৎপাদন এরই মধ্যে ১৮ লাখ টন ছাড়িয়েছে। রেকর্ড লবণ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত লবণ কোম্পানিগুলো লবণ কেনা কমিয়ে দেওয়ার কারণে দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। লবণ চাষিরা বলছেন, এসব অঞ্চল থেকে এসিআই সল্ট লিমিটেড, মোল সল্ট, মধুমতিসহ বড় কোম্পানিগুলো লবণ ক্রয় করত। কিন্তু তারা এখন লবণ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে লবণ অবিক্রিত অবস্থায় থাকলে বড় লোকসানের মধ্যে পড়বেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
এ বিষয়ে এসিআই সল্ট লিমিটেডের বিসনেস ডিরেক্টর মো. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের কারখানার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ কেজি লবণ সংগ্রহ করে থাকি। কিন্তু মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমরা খুচরা বাজার থেকে লবণ কেনা বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লবণ কেনা চালু করতে পারব।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে দেশে ভোক্তা ও শিল্প খাতে লবণের চাহিদা রয়েছে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টন। বিপরীতে বিসিক দেশে লবণ উৎপাদন এলাকার ৬৪ হাজার ১৪৭ একর জমিতে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৮ লাখ টন। গেল বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, কক্সবাজার সদরসহ কক্সবাজারের উপকূল এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলায় লবণ উৎপাদনে জড়িত রয়েছে প্রায় ৪ লাখের বেশি কৃষক ও শ্রমিক। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ১৩টি লবণ উৎপাদন মোকামের অধীনে লবণ উৎপাদন ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ টন।
চকরিয়ার কোটাখালী লবণ চাষী মো. ফারুখ জানান, পাঁচ কানি (এক কানি ৩৯ শতাংশ) জমিতে লবণ চাষ করছে। এক কানি জমিতে ২৫০ মন লবণ চাষ হয়। এতে খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। জমি তৈরিতে ২৭ হাজার, মাটিতে পলিথিন বিছাতে ১০ হাজার ৫০০ টাকা, জমিতে পানি দিতে ৩ হাজার টাকা। নিজের শ্রমের মূল্যসহ আর খরচ আছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো এখন লবণ কিনতে চাচ্ছে না। সরকার যেন আমাদের কথা চিন্তা করে। আমরা যেন ন্যয্যমূল্যে লবণ বিক্রি করতে পারি। এটা না করতে পারলে লাভ তো দূরের কথা লবণ চাষের খরচই উঠবে না। স্থানীয়রা বলেন, এ লবণ শিল্প বাঁচাতে হলে সরকারকে কক্সবাজারে একটি ‘লবণ বোর্ড’ গঠন করতে হবে। তারা যেন ঠিক মতো দাম পান সে ব্যাপারে দেখবে এ বোর্ড। এখন যে বড় বড় ফ্যাক্টরিতে যে সমস্য হয়েছে এ সমস্য যদি সরকার সরকার সমাধান করে, তাহলে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা মন বিক্রি করতে পারব।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |