logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, সোমবার, মে ২৭, ২০১৯
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি
সিলেটে মানব পাচার আইনে আরেক মামলা
সিলেট ব্যুরো

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর রহমানের বাবা লেচু মিয়া বাদী হয়ে সম্প্রতি দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ নিয়ে সিলেটের তিন থানায় মানব পাচার আইনে তিনটি মামলা হলো। 
মামলার আসামিরা হলেন সিলেটের বিকে এয়ার সার্ভিস ও সিদ্দিকিয়া হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী, দক্ষিণ সুরমার ইনাত আলীপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে বশির আহমদ লিলু মিয়া ও এসএমপির মোগলাবাজার থানার সিরাজপুরের চান্দ আলীর ছেলে খিজির আহমদ। 
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, গেল বছরের ৭ জুন জিল্লুরকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে নিয়ে যায় বশির ও খিজির। এরপর তিন মাস তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। তিন মাস পর লিবিয়া থেকে জিল্লুর জানায়, তাকে সেখানে একটি রুমে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তাকে অনাহারে রেখেছে। এমন খবর পেয়ে জিল্লুরকে দেশে ফেরত আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে বশিরকে চাপ দেওয়া হলে সে ৫ লাখ টাকা দাবি করে বসে। তখন তাকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ মে বিবিসির খবরে নিখোঁজের তালিকায় জিল্লুরের নাম দেখতে পান তারা। এর পর বশিরের সঙ্গে কথা বলতে বাসায় গেলে সে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সেলিম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিল্লুর নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তার বাবা থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান তিনি। 
প্রসঙ্গত, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিশ্বনাথ থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায়ই আসামি করা হয়েছে ঢাকায় গ্রেপ্তার এনামুল হককে। বিশ্বনাথ থানায় করা মামলায় দালাল রফিকুল ইসলাম (৫০), তার লিবিয়া প্রবাসী ছেলে পারভেজসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]