logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০১৯
অ্যাজমা হতে পারে যে কোনো বয়সির

অ্যাজমা বা হাঁপানি শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তা হলে বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অ্যাজমা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।
যে কোনো বয়সি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগ জেনেটিক পরিবেশগত কারণে কারও কারও বেশি হয়ে থাকে 

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

অ্যাজমা বা হাঁপানি শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তা হলে বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অ্যাজমা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।
যে কোনো বয়সি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগ জেনেটিক পরিবেশগত কারণে কারও কারও বেশি হয়ে থাকে। ঘরবাড়ির ধুলা-ময়লার মাইট জীবাণু, ফুল বা ঘাসের পরাগ রেণু, পাখির পালক, জীবজন্তুর পশম, ছত্রাক, কিছু খাবার ও ওষুধ, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা হয়ে থাকে।
যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের হাঁপানি হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তবে এর মানে এই নয়, আত্মীয়র থাকলে বাকি সবারই হবে। তবে এ রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে ভ্রান্ত ধারণা। অ্যাজমা মোটেও ছোঁয়াচে কোনো রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে।
আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুর অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্শ থেকেও অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা নেই। রোগটির উপসর্গ হলোÑ বুকের ভেতর বাঁশির মতো শোঁ শোঁ আওয়াজ, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা, ঘন ঘন কাশি, বুকে আঁটসাঁট বা দম বন্ধ ভাব, রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকা, সব মিলিয়ে এক ধরনের অস্বস্তিতে ভোগা।

চিকিৎসা 
রক্ত পরীক্ষা, বিশেষ করে রক্তে ইয়োসিনো-ফিলের মাত্রা বেশি আছে কি না, তা দেখা। সিরাম আইজিইর মাত্রা সাধারণত অ্যালার্জি রোগীর ক্ষেত্রে বেশি থাকে। স্কিন প্রিক টেস্টে রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এ পরীক্ষায় কোন কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে, তা ধরা পড়ে। 
প্যাঁচ টেস্ট রোগীর ত্বকের ওপর করা হয়। এ ছাড়া হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরুর আগে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করাতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যে কোনো রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। কোনো রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ দেখামাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ বিষয়টি আমাদের মোটেও অবহেলা করা ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে ভালো।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড হলিস্টিক হেলথ কেয়ার
পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা
০১৭২১৮৬৮৬০৬, ০১৯২১৮৪৯৬৯৯

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]