ঢাকার আশুলিয়ায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ওই তরুণীর সৎবাবাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার চরখালী গ্রামের মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে মো. সজিব হাওলাদার, রংপুর জেলার কাওনিয়া থানার গদাই গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে মামুন শেখ, বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার হিজলা গ্রামের গগন আলীর ছেলে নুরে আলম, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার হরিনাথপুর গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে হাবিব। এছাড়া সৎবাবা তাইজুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর থানার পশ্চিমখামার দশলী গ্রামে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, দুই দিন আগে আমার স্ত্রীকে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় সৎ শ্বশুর তাইজুল ইসলামের বাসায় রেখে আমি তিন দিনের জন্য নারায়ণগঞ্জে কাজে যাই। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমি কাজ ফেলে আশুলিয়ায় ছুটে আসি। 
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, ভুক্তভোগীর খালার অসুস্থতার কথা বলে তার সৎবাবা ওই তরুণীকে কৌশলে জিরাবো এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে থাকা চার বখাটে জোরপূর্বক তাকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাঠগড়া ও জিরাবো এলাকা থেকে তাদের আটক করে। ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।