logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০১৯
‘বোমাটি শক্তিশালী, ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা’
পুলিশের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএসের
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে রোববার রাতে বোমা বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজনের আহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গিদের তৎপরতার খবর জানানো অনলাইন পোর্টাল সাইট ইন্টেলিজেন্স বলেছে, ঢাকায় বাংলাদেশি পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এ নিয়ে ঢাকায় তিনটি হামলার দায় স্বীকার করল মধ্য প্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এদিকে, মালিবাগের বোমাটি শক্তিশালী ছিল এবং জনমনে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার রাতে মালিবাগ মোড়ের ককটেল বিস্ফোরণের হামলায় আহত হন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার বাবলী (২৮) ও রিকশাচালক লাল মিয়া (৫৫)।

২৯ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলিস্তানের ডন প্লাজার সামনে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনায় ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭), লিটন (৪২) ও কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৮) আহত হলে দায় স্বীকার করেছিল আইএস। ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান হোটেলে জঙ্গি হামলা ছিল আইএসের দায় স্বীকারের প্রথম ঘটনা। 

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মালিবাগের বোমটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে শক্তিশালী। ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল। জনমনে ভীতি ছড়াতে এবং নৈরাজ্য ও অরাজকতা তৈরির জন্য কোনো একটি গোষ্ঠী এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালে রিকশাচালক লাল মিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ককটেল বিস্ফোরণে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। গত রাতে তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। 
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা কী উদ্দেশ্যে এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কী ধরনের বিস্ফোরক, তা কাউন্টার টেরোরিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কিছুকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছেÑ তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক উগ্রবাদের প্রভাবের বাইরে না। এ হামলার ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা এ মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে বাংলাদেশে সংঘবদ্ধ বা বড় ধরনের নাশকতা করার ক্ষমতা জঙ্গিদের নেই। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর তাদের বিধ্বস্ত করা হয়েছে। কখনও কখনও তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অপচেষ্টা করে, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখছি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য দেশের মানুষের রক্ষার জন্য যে কোনো নৈরাজ্য উগ্রবাদ দমানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত পুলিশের এএসআই রাশেদা আক্তার বাবলী জানান, তিনি মালিবাগ মোড়ে ডিউটিতে ছিলেন। তার পাশেই একটি পুলিশ ভ্যান পার্কিং করে রাখা ছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে স্পিøন্টার তার পায়ে আঘাত হানে। তবে কে বা কারা ককটেলটি ছুড়েছে তা দেখতে পাননি তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]