জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাসেম প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় বিকাল ৫টা পেরিয়ে গেলে তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

আবুল কাসেম বলেন, যেহেতু ২১ মে যাচাই-বাছাইয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র 

বৈধতা পায় এবং মঙ্গলবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায়, তিনি বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দুয়েক দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। এরপর তার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। 
জানা যায়, রুমিন ফারাহানা ছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ আরও বেশকিছু নারী নেত্রীর নামও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচিত ছিল। শেষ পর্যন্ত রুমিন ফারহানাকেই দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হয়। অর্থাৎ, সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ছয় আসনের বিপরীতে একটি সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয়। দলীয় একটি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকলে সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর একাধিক প্রার্থী না থাকলে একক প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসনে জয় পেয়েছিল। সেই হিসাবে তাদের জন্য একটি সংরক্ষিত নারী আসন বরাদ্দ হয়। ৮ মে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন বিএনপির সংরক্ষিত একটি নারী আসনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন। 
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন।