দেশি পোশাক ছাড়াও ভিনদেশি নানা ঢঙের পোশাক জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন আমাদের দেশে। বিশেষ করে ঐতিহ্যগত মিল থাকায় প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের পোশাকের প্রতি এ দেশের নারীদের আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। অবশ্য ব্যবহারের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের অনেকেই নানা কারণে চাহিদামাফিক ও যুতসই পোশাক সংগ্রহ করতে পারেন না। তাদের এ প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাক্সিক্ষত পোশাকটি হাতে তুলে দেওয়ার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন হাউস ল্যাভিশো। 

ঈদকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইনের ও নানা রঙের রকমারি পোশাকের পসরা নিয়ে এসেছে এ ফ্যাশন হাউস। নানা ডিজাইনের, নানা রঙের সব ফ্যাশনেবল ও রুচিশীল নকশায় সাজানো শাড়ি ছাড়াও অনেক ধরনের পোশাক রয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির। ল্যাভিশোর কর্ণধার সায়মা বিনতে ইলিয়াস বলেন, ল্যাভিশোতে শুধু শাড়িই নয়Ñ রয়েছে সালোয়ার, কামিজ, কুর্তি, টপস, লেহেঙ্গার মতো সব পোশাক। আরও রয়েছে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের পোশাক। ল্যাভিশোর যাত্রা ২০১৮ সালের ১২ মে। এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে ল্যাভিশো কাক্সিক্ষত ক্রেতাদের সাড়া পাচ্ছে। সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ক্রমেই উন্নত হওয়া ও বিশ্বায়নের ছোঁয়ায় দেশের অনেক নারী এখন ফ্যাশন সচেতন। তাই সব ধরনের রুচিশীল ক্রেতার জন্য ল্যাভিশোর আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ প্রত্যাশিত পোশাকই তারা তাদের ক্রেতাদের কাছে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত। এখানেই শেষ নয়, আমাদের পরিসর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশীয় জামদানি, তাঁতে বোনা শাড়িসহ আরও অনেক ধরনের সম্ভার যোগ করব। এছাড়াও লাল, নীল, গোলাপি, মেরুন এমন হাজারও রঙের শাড়ি রয়েছে। একশ’রও বেশি ডিজাইনের চোখ ধাঁধানো ও মনোহর শাড়ি রয়েছে গুলশান-১-এ অবস্থিত পুলিশ প্লাজায় (দোকান নং ৩১০, ৩১১) ল্যাভিশোর শোরুমে। এছাড়াও, ল্যাভিশোতে রয়েছে ভারতের জনপ্রিয় সত্যপালের শাড়ি। এ ব্র্যান্ডের শাড়ির দাম ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য ভারতে সত্যপালের শাড়ির দাম ২ লাখ টাকা পর্যন্তও হয়। এ দামে যদি কোনো ক্রেতা কিনতে চান তবে লাইফস্টাইল হাউসটি তা সরবরাহ করবে। সত্যপাল ছাড়াও আসিম জোফা চারমুয়েস সিল্ক, আসিম জোফা ভেলভেট, মারিয়া বি লিনেন, জারা শাহজাহান, জয়নব চট্টানিসহ অন্যতম ও জনপ্রিয় বিদেশি সব ব্র্যান্ডের অরিজিনাল কালেকশন রয়েছে ল্যাভিশো লাইফস্টাইলে। সায়মা বিনতে ইলিয়াস বলেন, যেসব ব্র্যান্ডের কালেকশন রয়েছে ল্যাভিশো লাইফস্টাইলে তাদের প্রতিটির সঙ্গেই যুক্ত আছে অন্যতম ও প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। তাদের ডিজাইন করা পোশাকের জনপ্রিয়তা ও প্রতিটি ব্র্যান্ডের নান্দনিক বৈচিত্র্যময় সমাহার ঢাকা বা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতা, ভোক্তা সাধারণের মধ্যে আকর্ষণ ও চাহিদা তৈরি করেছে। অনেকে আবার নানা কারণে চাইলেও সে সব জায়গা থেকে পোশাক কিনতে পারেন না। সে কারণেই পরিকল্পনা করি রুচিশীল, মানসম্পন্ন, অরিজিনাল সব কালেকশন সবার হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে এবং এভাবেই শুরু হয় ল্যাভিশো লাইফস্টাইলের। ছবি : ল্যাভিশো