প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বৃহস্পতিবার, মে ৩০, ২০১৯ | |
আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা ম্যানুয়েলে প্রতিটি কোচের জন্য একজন করে অ্যাটেনডেন্ট (পরিচর্যক) থাকার কথা থাকলেও তা নেই। একজন অ্যাটেনডেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে চার থেকে পাঁচটি কোচের। দীর্ঘপথ ভ্রমণে এ একজনের পক্ষে চার থেকে পাঁচটি কোচের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে যাত্রীরা নানা রকম ভোগাস্তিতে পড়লেও তা সমাধান করার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের একেকটি আন্তঃনগর ট্রেনের কোচ সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬টি। ঈদযাত্রায় আরও অতিরিক্ত কোচ জোড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একেকটি ট্রেনের জন্য অ্যাটেনডেন্ট গড়ে চারজনের বেশি নয়। অথচ আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা ম্যানুয়েলের অধ্যায় : ৫ এর ৫.২৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্ত অনুয়ায়ী প্রতিটি কোচে একজন অ্যাটেনডেন্ট নিয়োজিত থাকার কথা। এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় যাত্রীসেবা ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা-নামার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে কোচ ও আসন খুঁজে পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শামসুজ্জামান লোকবলের এ সংকটের কথা শিকার করে বলেন, অ্যাটেন্ডেন্ট (পরিচর্যক) এ মুহূর্তে কত আছে সেই তথ্য আমি দিতে পারব না। তবে সংকটের কারণে আমরা ট্রেনের সব বগিতে দিতে পারছি না।
জানা গেছে, আগে আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে এ অ্যাটেন্ডেন্ট সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বর্তমান ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরে তা থমকে গেছে। মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা এক্সপ্রেসা, উপকূল এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপূত্র এক্সপ্রেসে অনবোড সার্ভিস বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত করার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা আটকে গেছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো বলাকা ইন্টারন্যাশনাল, এন সাফা করপোরেশন ও স্বপ্নীল অ্যাসোসিয়েট। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশসহ কার্যবিবরণীর সারসংক্ষেপ গেল ১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে রেল সচিবের দপ্তরে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত তার সুরাহা হয়নি। এরপর নতুন চালু হওয়া ট্রেনগুলোতেও এ ধরনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
জানা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৯১৫ জনের বিপরীতে কাজ করছেন ১৫০ জন। বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগে মঞ্জুরি পদ রয়েছে ১৩৫, কর্মরত রয়েছেন ৮৯ জন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যূনতম মঞ্জুরি প্রয়োজন ২৭০ জন। সদ্য চালু হওয়া বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতি বগিতে একজন করে অ্যাটেনডেন্ট থাকার নিয়ম থাকলেও ১২ বগিতে মাত্র চারজন অ্যাটেনডেন্ট ডিউটি করছেন।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |