প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ৩১, ২০১৯ | |
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ‘ঠান্ডা মাথার খুনি’ হিসেবে কুখ্যাত অমিত মুহুরি খুন হয়েছেন। বুধবার রাতে তিনি খুন হন বলে জানান চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাছির আহমেদ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা দায়ের করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। জেলার নাছির আহমেদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিপন নাথ নামে এক কারাবন্দিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। অমিত মুহুরিকে হত্যার জেরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় তার অনুসারীরা।
কারাগার ও পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে রিপন নাথ নামের আরেক বন্দির ইটের আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান অমিত। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অমিত মুহুরিকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কারারক্ষীরা। এরপর তাকে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক অমিতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারাগারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খুনের জেরে চমেক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় তার অনুসারীরা। সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি বিভাগে ভাঙচুর চালায় তারা। হামলাকারীরা বিভাগের কলাপসিবল গেট, জানালার কাচ ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ভয়ে রোগী ও স্বজনরা ছোটাছুটি শুরু করেন। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রায় শতাধিক যুবক হাসপাতালে হামলা চালায়। এ সময় একটি কলাপসিবল গেট ও জানালার কাচ ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের হাসপাতাল এলাকা থেকে বের করে দেয়।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘিতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট অমিত মুহুরিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ও ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে কুখ্যাত অমিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অনুসারী ছিলেন। ২০১৩ সালে সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামি অমিত মুহুরিকে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে অমিত জামিনে বেরিয়ে আসেন। ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় অমিত মুহুরি ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা। এরপর ২৮ এপ্রিল রাতে ঝাউতলায় স্থানীয় কিশোর তরুণদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে অমিত মুহুরির অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চিত্র ভিডিও ফুটেজে পেয়ে ২৫ মে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। কিন্তু ২৬ জুন অমিত জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপরই তিনি বন্ধুকে খুন করেন এবং আবার জেলে যান।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |