ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ (ঢাবি) উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা এবং বিসিএস ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের ঘটনায় ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

রাজধানীর শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অভিযোগপত্রভুক্ত ১২৫ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা 

বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র, যাদের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারাসহ গ্রেপ্তার মোট ৪৭ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শফিকুল বলেন, ঢাবির যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করার জন্য বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খুব শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে।
 ২০ অক্টোবর ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের মতো দেখতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে কানে আরেকটি ডিভাইস রাখা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তার করে। সিআইডি প্রধান বলেন, অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত করে। তদন্তকালে আসামিদের নগদ ২০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।