logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২০
এক মজনুর শাস্তিতে ধর্ষণ থামবে না
মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ

সমাজের ভদ্র লেবাসধারী যেসব অমানুষ একের পর এক ধর্ষণ, নারী নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কেউ সমর্থন না দিয়ে, বরং তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করুন। তাদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন

 

অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হওয়া নতুন বছরের শুভলগ্নেই ঘটে গেল বেশ ক’টি ধর্ষণের ঘটনা। নারীর এগিয়ে চলার পথে এই যে বাধা, তা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। একটি ধর্ষণের ঘটনায় শুধু ধর্ষিতাই যে আক্রান্ত হয় তা কিন্তু নয়, এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা নারীসমাজে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের মেয়েদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণীরা শঙ্কায় থাকেন কখন তাদের কেউ এমন এক অভিশপ্ত ঘটনার নির্মম শিকার হবেন। বছর শুরুর প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনার কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরেও হয়তো কোনো নিভৃত পল্লির অসহায় তরুণী বা যুবতীর সম্ভ্রম কেড়ে নিয়ে থাকবে কোনো পাষণ্ড, যা পত্রিকায় আসেনি। লোকলজ্জার ভয়ে হয়তোবা গোপন রাখা হয়েছে সেই নির্মম যন্ত্রণার তথ্য। রাজধানীর কাফরুলে স্বামীকে বেঁধে রেখে ২৭ বছর বয়সি এক গার্মেন্ট কর্মীকে ধর্ষণ করে কিছু নরপশু। এর নেতৃত্ব দেয় একজন রাজনৈতিক নেতা। ঘটনার সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে তিন সহপাঠী মিলে ধর্ষণ করেছে নবম শ্রেণির ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে। পঞ্চগড়ে এক ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে। সম্প্রতি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে এক লম্পট চটপটি বিক্রেতা মেয়েটির অশ্লীল ছবির পোস্টার এলাকার গাছে গাছে সেঁটে দিয়েছে। চরম লজ্জায় এলাকা ছেড়েছেন মেয়েটি ও তার মা। ফলে মেয়েটির পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে। প্রতিবাদ, আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে গোটা ছাত্রসমাজ ও সচেতন মহল। মানববন্ধন, অবরোধে উত্তাল গোটা দেশ। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে নয়, ৫ জানুয়ারি ঢাকা কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি জনাকীর্ণ এলাকায় সন্ধ্যা ৭টায় পরই এমন একটি ঘটনায় হতবাক দেশবাসী। ছাত্রীটি বাস থেকে নেমে হেঁটে শেওড়ায় এক বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষক তাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার পাশে ঝোপে নিয়ে যায় এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক সময় ছাত্রী অচেতন হলে ধর্ষক ছাত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে নির্বিঘ্নে স্থান ত্যাগ করে।
এ পরিসংখ্যানে জানা যায়, সদ্য বিদায় নেওয়া বছরে ধর্ষণ ও দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ নারী। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৩২ এবং ২০১৭ সালে ছিল ৮১৮ জন। এর মানে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দ্বিগুণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে মোট ধর্ষিতা নারীর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন। এ বছর ২৫৮ নারী যৌন হয়রানির ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪৪ পুরুষ। উত্ত্যক্তের কারণে ১৮ নারী আত্মহত্যা করেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে চার নারীসহ ১৭ জন খুন হয়েছেন। একই বছরে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর মোট ৪৮৭ শিশু নিহত হয়েছে। বর্তমানে নারী শিক্ষার অভূতপূর্ব প্রসার ঘটলেও প্রকৃত সংস্কারমুক্ত হতে পারেনি পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজের মানুষ। নারীর প্রতি সহিংসতায় বাংলাদেশে প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির ২ শতাংশ, সংবাদটি দেশ ও জাতির জন্য এক অশনিসংকেত। 
৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের অভিযুক্ত হিসেবে মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ তারিখে। পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে মজনু। ছোটবেলায় মাতৃবিয়োগ হলে সৎমায়ের সংসারে টিকতে না পেরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে সে। বিয়ে করার কিছুদিন পর স্ত্রী মারা গেলে সে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন কাটাতে শুরু করে। মজনু নিরক্ষর, পেশায় হকার বললেও সে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ট্রেনের বগি, টার্মিনার ও ফুটপাতে তার আবাস। মজনু মাদকসেবী। গাঁজা, ফেনসিডিল, ডান্ডি সেবনে অভ্যস্ত সে। ফুটপাতের, বস্তির প্রতিবন্ধী, পাগল নারীদের ধর্ষণ করে এক সময় সিরিয়াল ধর্ষকে পরিণত হয়েও সে এতদিনে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়েনি। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বিপাকে পড়তে হয় মজনুকে। তাই হয়তো কিছু আঁচ করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটিকে ধর্ষক তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেও জীবন আশঙ্কায় ছাত্রীটি জানায়নি। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ মজনুর হিংস্র এবং অনেকটা প্রতিহিংসাপরায়ণ। তাই স্বভাবজাত কারণেই মজনু আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে ধর্ষিতার শরীর। সচেতনভাবেই ধর্ষিতার ব্যাগে রাখা পোশাক পাল্টে দিয়ে বারবার ধর্ষণের মতো অপরাধে লিপ্ত হতে পেরেছে। রাজধানী ঢাকার একটি জনাকীর্ণ এলাকায় ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধ সংঘটিত করে দুই-তিন দিন যেতে না যেতেই আবার সেখানে ফিরে এসে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পেরেছে। হয়তো খুঁজে বেড়িয়েছে নতুন কোনো শিকার। কিন্তু বিধি বাম, ধরা পড়েছে মজনু। মজনু পালিয়ে যায়নি। দীর্ঘকাল কোথাও লুকিয়ে থেকে বাঁচার চেষ্টাও করেনি। জীবনের প্রতিই যখন কোনো দয়া মায়া না থাকে, তখন পুলিশের ভয়, শাস্তি এসবের পরোয়াই বা কে করে! কিন্তু আমাদের দেশে যত ধর্ষক ধরা পড়ছে তারা সবাই তো মজনুর মতো নয়। ধর্ষণের মতো এমন পাশবিকতা যে শুধু অশিক্ষিত সমাজের মধ্যেও সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়। ধর্ষকদের মধ্যে রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ, মাদ্রাসার শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন বয়সি ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের উচ্চশিক্ষা রয়েছে, তারা বরাবর নীতিবাক্য শোনান, মানুষকে পথে আনার ছবক দেন। কেমন করে তারা সজ্ঞানে এমন অপরাধ করেও দ্বিধাহীন চিত্তে সমাজে মাথা উঁচু করে ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছেন!
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ক্যান্টনমেন্টের কাছে কুর্মিটোলার একটি জনবহুল এলাকায়। এলাকার সড়কে যানবাহনে সব সময়ে ব্যস্ত থাকে। চলে মানুষের নিয়মিত আনাগোনা। অথচ কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড রাস্তার পাশে রয়েছে বিশাল এক জঙ্গলভরা এলাকা। এটা পার্ক, আইল্যান্ড নাকি সংরক্ষিত বন এলাকা বোঝা কঠিন। ঝোপঝাড় বেয়ে বেড়ে উঠেছে অজস্র লতাগুল্ম। গাছগাছালির মধ্যে প্রবেশ করলেই বাইরে থেকে সহজে কাউকে দেখা যাবে না। এলাকাটিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। আলো-আঁধারিতে বিরাজ করে এক ভৌতিক পরিবেশ। কাছাকাছি কোনো সিসি টিভি ক্যামেরাও নেই। সচরাচর দেখা যায় না কোনো টহল পুলিশ। ধর্ষক এমন একটি জনবহুল (নির্জন) এলাকাকে তার অপকর্মের উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। মেতে উঠেছে পৈশাচিক উন্মত্ততায়। আর ৭টা তো বেশি রাত নয়। একজন সুস্থ-সবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তার ওপর অমানুষিক সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে, খামলে নিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে একটি তরতাজা মেয়ের শরীর। ধর্ষণ করেছে একাধিকবার। অথচ মেয়েটির কোনো আর্তচিৎকার বাইরে থেকে এতটুকু কেউ শুনতে পায়নি। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। তাই ধর্ষক অল্প দিনের মধ্যে আবার একই স্থানে এসে ঘুরতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্কসহ অনেক অরক্ষিত জায়গা রয়েছে এ ধরনের অপকর্ম করার জন্য। এছাড়া রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট টার্মিনাল, এমনকি রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত বগিও ভবঘুরেদের মাদক সেবন ও ধর্ষণের জন্য উপযুক্ত স্থান। এসব স্থানকে অপরাধমুক্ত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা অত্যাবশ্যক এতদিনেও অনুভূত হলো না। মজনু সিরিয়াল ধর্ষক হওয়ায় অনিরাপদ যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে সে নানারূপ যৌনব্যাধি বহন করে চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই ধর্ষিতা ছাত্রীকে সে ওইসব রোগে সংক্রমিত করেছে কি না, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত হয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে ধর্ষণের জন্য যে আইনি বিধান রয়েছে তাতে ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রমাণ করতে হয় যে, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আলামত সংগ্রহ এবং যেসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ধর্ষিতাকে যেতে হয় তা-ও কঠিন। ধর্ষণের ব্যাপারে ধর্ষিতাকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদও তার জন্য পীড়াদায়ক। ধর্ষণের মামলায় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যা পক্ষান্তরে ধর্ষণের বিস্তার ঘটায়। মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিও ধর্ষণকে উৎসাহিত করে। সব ধর্ষণের ঘটনার মামলাও হয় না। আসকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩ নারী ধর্ষণের শিকার হলেও এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ৯৯৯টি। মামলার তথ্য রয়েছে ৪১৪টির। ধর্ষণের সময় সাধারণত কোনো প্রত্যক্ষদর্শী থাকে না। ধর্ষণ প্রমাণে সবসময় সাক্ষী পাওয়াও যায় না। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতার পক্ষ থেকে মামলায় অনীহা প্রকাশ করা হয়। তবে ধর্ষক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার অপরাধের কথা স্বীকার করে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ধর্ষক মজনু তার দোষ স্বীকার করেছে। অবলীলাক্রমে প্রকাশ করেছে তার পূর্বের অপরাধের কথাও। হাসপাতালে শুয়ে ছবি দেখে ধর্ষিতা ছাত্রী ধর্ষককে শনাক্ত করেছে। মজনুকে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন ও নারী কর্মকর্তা দিয়ে মামলা তদন্ত এবং বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা সর্বোপরি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনের সংশোধনের দাবি উঠেছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। এবার মজনুর বিচার হবে। দ্রুততম সময়ে মজনুর কৃতকর্মের শাস্তিও সে পাবে। হতে পারে তা দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। তার পক্ষে কোনো কৌঁসুলি দাঁড়াবেন বলে মনে হয় না। দাঁড়ানোর কথাও নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তাকে এক অভিশপ্ত জীবনের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছে। কুঠারাঘাত করেছে তার সব আশা-আকাক্সক্ষার মূলে। হোক মজনু ছন্নছাড়া, নেশাগ্রস্ত, জীবনের সব সুবিধাবঞ্চিত। তবু তার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। সমাজের ভদ্র লেবাসধারী যেসব অমানুষ একের পর এক ধর্ষণ, নারী নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কেউ সমর্থন না দিয়ে, বরং তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করুন। তাদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। খেয়াল রাখুন যাথাসময়ে এসব ভদ্রবেশী ধর্ষকদের বিচার কাজ সমাধা হচ্ছে কি না। তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন, যেমনটি মজনুর বেলায় আওয়াজ উঠেছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে, ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে গড়ে তুলুন সামাজিক প্রতিরোধ। কেননা একজন ধর্ষক মজনুর বিচার করে শাস্তি দিয়ে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এ সমাজ থেকে ধর্ষণ উচ্ছেদ করা যাবে না। মজনুকে প্রাণদণ্ড দিলেও না। হ

 মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]