প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২০ | |
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বিতর্কিত রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। তাদের ক্ষোভের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা সক্রিয় ছিল কি না, তা শুধু যাচাই করার ব্যাপার। তবে ওনাদের নাম যে তালিকায় আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে সব ডকুমেন্টারি অ্যাভিডেন্স (তথ্যপ্রমাণ) আছে। তবে বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন। লিখিত প্রশ্নের পর সম্পূরক প্রশ্নে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেই, এ কথাটি সরাসরি বলা যায় না। কারণ ওই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটা প্রকাশ হয়েছে। এ তালিকা সঠিক আছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। প্রকৃত রাজাকাররা এ তালিকায় আসেনি।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি আগেই দুঃখ প্রকাশ করে সেই তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছি ভুলত্রুটি থাকার কারণে। ভবিষ্যতে যাতে আর ভুলত্রুটির পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং সম্পূর্ণরূপে যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতে তালিকা প্রকাশ করব। তিনি আরও বলেন, রাজাকারের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ১০ হাজার বিতর্কিত রাজাকারের তালিকা
৭৮৫ রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি তালিকা এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। প্রাপ্ত তালিকা হুবহু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওই তালিকা প্রস্তুত করেনি, সেহেতু কারও গাফিলতি থাকলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও সরকারি দলের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল আমরা কোনো তালিকা তৈরি করব না। আমাদের লক্ষ্য ছিল যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের তালিকা বিদ্যমান আছে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আমি মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কেননা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি দিয়েছে সেটা আমরা জানি না, যেহেতু মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাই তারাই তালিকাটি প্রকাশ করতে পারত। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী কেন সেটা প্রকাশ করলেন? উনি (মন্ত্রী) সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি, পারবেনও না।
জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যে তালিকা প্রকাশ করেছি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রণয়ন করেনি, তাদের কাছে যার সংরক্ষিত ছিল তাই দিয়েছে। তালিকায় যাদের নাম গিয়েছে তারা শুধু সক্রিয় ছিল কি না, তা শুধু যাচাই করার ব্যাপার। তবে ওনাদের নাম যে তালিকাতে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমার যেটা অভিজ্ঞতা হয়েছে তালিকা করতে, তখন মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে, কারা কি করবে? তারা সমানে তাদের অজ্ঞাতেই হয়তো বা অনেকের নাম দিয়েছে। সেজন্যই এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |