প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২০ | |
বোরো ও আমনের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত এবং বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার ৮৩ শতাংশ কৃষক পুনর্বাসনের আওতায় আসেনি। মাত্র ১৭ শতাংশ কৃষককে সার, বীজ ও নগদ ৫০০ টাকা করে অর্থ দিয়ে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে। বুলবুলে ৩ হাজার ২১ হেক্টর জমির আমন এবং ৮০০ হেক্টর জমির শাকসবজি, সরিষা, পান, পেঁপে ও কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বছর ৯ নভেম্বর খুলনা অঞ্চলে বুলবুল আঘাত হানে। গেল মৌসুমে প্রতি মণ আমন উৎপাদনে ৯০০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় মণপ্রতি সাড়ে ৭০০ টাকা দরে। এবারের আমনেও একই অবস্থা। জেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমির আমন খেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করে। আক্রান্ত জমির খড়কুটো ছাড়া ধান কৃষকের ঘরে আসেনি। তাপদাহে বাগদা চিংড়ির ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে গলদার আশানুরূপ উৎপাদন হয়নি। এবারের শৈত্যপ্রবাহে ৫০০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ফলে খুলনার ৬০ হাজার কৃষক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ৯০০ কৃষককে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে। পুনর্বাসনের আওতায় আনা উপজেলাগুলো হচ্ছে কয়রা, পাইকগাছা, দিঘলিয়া, তেরখাদা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, রূপসা ও মহানগরীর লবণচরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক কৃষককে নগদ ৫০০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। চাষিদের ভুট্টা, মুগডাল ও শাকসবজি চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল ও পিরোজপুর জেলার সব উপজেলা বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, পুনর্বাসন কর্মসূচির জন্য কৃষকের হাতে সার ও বীজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষক ৫০০ টাকা করে পাচ্ছে। কয়রা, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ভুট্টা চাষের জন্য কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি সাহায্যে উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষক উৎসাহিত হবে। এছাড়া ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণের জন্য এই প্রথমবারের মতো পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হবে। কৃষকের সুবিধার্থে জেলা সদর থেকে ভোজ্যতেল মিল মালিকরা নগদ অর্থে সূর্যমুখী কিনে নেবে। বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া উপজেলার ২৭০ চাষির মধ্যে ভুট্টার বীজ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বুলবুল নামক ঘূর্ণিঝড়ে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫৭টিতে ৩৪ হাজার ১৪৭ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপর একটি সূত্র জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিরা পুনর্বাসন সুবিধা পায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |