logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২০
স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নাবিকদের বন্দরে ঢোকার অনুমতি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজের নাবিকদের পোর্ট হেলথ অফিসার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করলেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজেন্ট জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দর এলাকায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে যেতে এ মুহূর্তে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। যারা ছুটিতে গেছেন তাদের এখন না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজে কর্মরতদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে লোকদের সচেতন করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরসহ অন্যান্য স্থলবন্দরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্যান্য স্থলবন্দরগুলো। বন্দরে আসা জাহাজের মাস্টারকে পোর্ট লিমিটে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা দিতে হবে যে, ওই জাহাজে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নাবিক নেই। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরে দুই স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আরও জানানো হয়, জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রুত রোগী স্থানান্তরের জন্য বন্দরে ‘অ্যাম্বুলেন্স শিপ’ রাখা হয়েছে। বন্দর ইমিগ্রেশন ডেক্সে পোর্ট হেলথ অফিসারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। কোনো নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭১৩ কোটি ১৩ লাখ ব্যয়ে ৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এগুলোর মধ্যে এডিপিভুক্ত প্রকল্প ৪০টি এবং ৯টি প্রকল্প সংস্থার নিজস্ব। এডিপিভুক্ত প্রকল্পে ৩০১৩ কোটি ৪৪ লাখ এবং নিজস্ব প্রকল্পে ১৬৯৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]