logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২০
এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেশের ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। ১ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় আজ থেকে তা শুরু হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম 
পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর ২৮ হাজার ৮৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে এবার ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষায় বসবেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী। দাখিলে এবার ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসবেন। এ বছর ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫ জন অনিয়মিত এবং ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ জন বিশেষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এছাড়া বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৩৪২ শিক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নেবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এবারও বহু নির্বাচনি (এমসিকিউ) অংশের উত্তর আগে দিতে হবে। পরে নেওয়া হবে সৃজনশীল/রচনামূলক অংশের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণসহ সব কিছু রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নের সেটকোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না এমন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। আর অটিস্টিক পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বেশি দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর অনলাইনের বোর্ডে পাঠাবে।”
প্রশ্ন ফাঁসরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব মহলকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দিতে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানাব, কোনোভাবেই কেউ যেন প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেন। কিছু প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনা করে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।”
২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও কারিগরির তত্ত্বীয় এবং ১ মার্চ পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]