
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২০ | |
পদ্মার ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ চান মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ডহরি-ধাইধা এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান কাজের সঙ্গে কয়েকশ’ মিটার কাজ অতিরিক্ত করলে রক্ষা পেতে পারে ধাইধা কওমি মাদ্রাসা, ডহরি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ ওই এলাকার কয়েকশ’ পরিবার। এ নিয়ে এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, গেল বর্ষায় লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের ডহরি-ধাইধা এলাকায় পদ্মার ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক পরিবার। গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে। হুমকির মুখে পড়ে ধাইধা কওমি মাদ্রাসা ও ডহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বালুর বস্তা ফেলে কোনো মতে মাদ্রাসা ও স্কুলটি রক্ষা করা হয়। কিন্তু আগামী বর্ষায় প্রমত্ত পদ্মার গ্রাসে এ দুটি প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে না বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, বাস্তব চিত্র এরকমই। যেভাবে পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে মাদ্রাসাটি, তাতে আগামী বর্ষায় এটি যে পদ্মা কেড়ে নেবে তা অনায়াসেই বলা যায়। এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার কয়েকশ’ পরিবার। বর্ষা এলেই এসব পরিবার পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়ে গৃহহীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ওই স্থান থেকে মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজ যদি কিছুটা বাড়িয়ে করা হয়, তবে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এ অঞ্চলের কয়েকশ’ পরিবার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।
স্থানীয় কলমা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবদুল মোতালেব শেখ বলেন, আমার ইউনিয়নটি পদ্মার ভাঙনকবলিত একটি জনবসতি। প্রতি বছর বর্ষায় পদ্মার ভাঙনে এলাকাবাসী কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। গেল বর্ষায়ও নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হয়েছে। বালুর বস্তা ফেলে কোনো মতে রক্ষা করা হয়েছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখান থেকে মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে ভাঙন রোধে বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদের পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার বাঁধ বর্ধিত করে দিলে এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৭০০ থেকে ৮০০ লোক আগামী বর্ষায় পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পারে। তাই পানি উন্নয়নের বোর্ডের কাছে দাবি, তাদের চলমান কাজের সঙ্গে বর্ধিত বাঁধ যুক্ত করে এ এলাকাটি রক্ষায় তারা যেন এগিয়ে আসে।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |