
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২০ | |
ইস্যুটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের অভাবে তারা সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছিলেন না। কারণ ব্যাংকিং সেক্টরে ইনসাইড ল্যান্ডিং সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন। সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালকরা নিজেদের ব্যাংক থেকে অথবা পরস্পর যোগসাজশে অন্য ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছেন। এই ঋণের বেশিরভাগই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে অথবা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালকরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে নিজেদের ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়েছেন ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। পরিচালকরা ইনসাইড ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে যে ঋণ নিয়েছেন তার পরিমাণ ব্যাংকিং সেক্টরের প্রদত্ত মোট ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। এই ঋণের একটি বড় অংশই নানাভাবে নিয়ম অমান্য করে নেওয়া হয়েছে। যারা ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তারা নিজেদের ব্যাংক থেকে অথবা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালকরা অত্যন্ত ক্ষমতাবান। তারা সবসময়ই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আশপাশে থাকতে ভালোবাসেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএম মুহিত যখন একই সঙ্গে ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। তারপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, ব্যাংক অন্য কোনো পারিবারিক ব্যবসায়ের মতো নয়। ব্যাংক চলে সাধারণ মানুষের আমানতের ওপর নির্ভর করে। ব্যাংকের সেই আমানতের মূল উপজীব্য হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই বলা হয়, ব্যাংক ব্যবসায় মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। কোনোভাবেই সেই বিশ্বাস নষ্ট করা উচিত নয়। ব্যাংকের মোট বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আহরিত হয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত আকারে। কাজেই ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য অভ্যন্তরীণ সুশাসন খুবই জরুরি। কোনো কারণে অভ্যন্তরীণ সুশাসনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরই বিপাকে পড়তে পারে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা মোটেও ভালো চলছে না। বিশেষ করে ব্যাংক পরিচালনায় দলীয় ভিত্তিতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের অনেকেরই ব্যাংক এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই। ফলে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। একটি দলীয় সরকার তার অনুসারীদের বিভিন্ন দায়িত্বে বসাবেন তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তাই বলে যার ন্যূনতম কোনো জ্ঞান নেই তাকে কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বসিয়ে দেওয়া হবেÑ এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। দলীয় অনুগতদের মধ্যে যারা অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ তাদের কোনো প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে বসিয়ে দেওয়া হলে কারও কোনো আপত্তি থাকবে না। ব্যাংকিং সেক্টরে যেসব বড় বড় ঋণ বা আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা এরই মধ্যে ঘটেছে তার কোনোটিরই সঠিক বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি ব্যাংকিং সেক্টরকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আমরা কি দেখছি? বেসিক ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হলো। অন্তত ৫৭টি মামলা হয়েছে বিভিন্ন আদালতে। নিম্ন পর্যায়ের কোনো কোনো কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। কিন্তু তৎকালীন যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার কোনো বিচার এখনও হয়নি। তাকে কয়েকবার দুর্নীতি দমন কমিশনে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছেÑ এ পর্যন্তই। তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে সেই ব্যাংকে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। কারণ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি হলে প্রতিটি ঋণ প্রস্তাবই পরিচালনা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি রয়েছে। কাজেই এ ব্যাপারে একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকের মালিক হচ্ছে রাষ্ট্র। সরকার রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেই ব্যাংক পরিচালনা করে থাকে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে যারা পরিচালন বা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তারা ব্যাংকের মালিক নন। তারা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো দেখভাল করেন মাত্র। ব্যাংকিং নীতিমালায় উল্লেখিত হয়েছে, পরিচালনা বোর্ড ব্যাংকের কোনো অপারেশনাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না, তারা শুধু নীতি প্রণয়ন করবেন। তারা কোনোভাবেই ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখছি? রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের এক শ্রেণির পরিচালক আছেন যারা প্রায়ই ব্যাংকে আসেন এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করেন। এমনকি নিয়োগ-বদলির ব্যাপারেও তারা সুপারিশ করে থাকেন। তাদের কোনো সুপারিশ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে কোনো কোনো ব্যাংকে এক ধরনের দ্বৈত শাসন চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ব্যক্তিকেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের ব্যাংকিং সম্পর্কে সাধারণ কোনো জ্ঞান নেই। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকরা হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মালিক। তারা উদ্যোক্তা-পরিচালক। কিন্তু সেখানেও চলছে নানা অরাজকতা। বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী-শিল্পপতি। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যাংক স্থাপন করেছেন নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজে অর্থ সংকুলান করার জন্য। তারা নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। আবার পরস্পর যোগাযোগের মাধ্যমে অন্য ব্যাংক থেকেও ঋণ নিচ্ছেন। এভাবে ইনসাইড ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে তারা ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক চলার গতি নষ্ট করে দিচ্ছেন। বেসরকারি ব্যাংকের একজন পরিচালক যেহেতু সেই ব্যাংকের মালিকও বটে। তাই তারা কোনো ঋণের জন্য আবেদন করলে অথবা তদবির করলে অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পক্ষে সে ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। তাহলে সেই কর্মকর্তার চাকরি থাকবে না। আজকাল চাকরির মায়া জীবনের মায়ার চেয়েও বেশি। একইভাবে তারা যদি অন্য কোনো ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন এবং সেই ব্যাংকের কোনো পরিচালক ঋণটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন তাহলে সেই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদিত হতে বাধ্য। কারণ কেউ যদি পরিচালকের ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে তার চাকরি চলে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। এমনকি তার জীবনের ওপর ঝুঁকি আসতে পারে। এভাবে তারা পরস্পর যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের ব্যাংক অথবা অন্য পরিচালকদের ব্যাংক থেকে ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের দাবির মুখে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের কিছু অস্বাভাবিক সুযোগ দিয়েছে, যা এই খাতের ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করেছে। আগে নিয়ম ছিল এক পরিবার থেকে একই সময়ে দুইজনের বেশি পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবেন না। পরিচালকদের মেয়াদকাল হবে দুই টার্ম। প্রতি টার্ম ৩ বছর হিসেবে তারা মোট ৬ বছর অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
নতুন আইনে প্রতি পরিবার থেকে একই সময়ে চারজন পরিচালক নিয়োগের বিধান করা হয়েছে। তারা অব্যাহতভাবে তিন টার্ম অর্থাৎ ৯ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। মাঝে এক টার্ম গ্যাপ দিলে আবারও তিন টার্ম পরিচালক থাকতে পারবেন। অর্থাৎ এই আইনি সংস্কারের মাধ্যমে একটি ব্যাংকের ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একটি পরিবারের চার সদস্য একই সময়ে কোনো ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করলে সেই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সুশাসন কেমন হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য। কিছু মানুষ আছেন যারা অবৈধভাবে প্রচুর বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। সেই অবৈধ অর্থকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ব্যাংক স্থাপন করেছেন। একজন সরকারি আমলা, যিনি সারা জীবন সরকারি চাকরি করেছেন তিনি যখন ৪০০ কোটি টাকা পেইড আপ ক্যাপিটাল জমা দিয়ে ব্যাংক স্থাপনের জন্য অনুমতি গ্রহণ করেন তখন তো তাকে ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি প্রদানের পরিবর্তে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল; কিন্তু তা করা হয়নি। এক সময় দেখা গেল তার ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। অনেকেই আছেন যারা নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। কিন্তু আইন তাদের কিছু করতে পারছে না। এমনকি কোনো প্রশ্নও তোলা হচ্ছে না।
বাংলাদেশের অর্থনীতি নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ব্যাংকিং সেক্টর সেই অগ্রযাত্রার সঙ্গে শামিল হতে পারছে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে দুর্বল স্থান হচ্ছে ব্যাংকিং সেক্টর। এই সেক্টরটি তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। অতি সম্প্রতি ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য যেসব আইনি সংস্কার করা হয়েছে তা আগামীতে এ খাতটিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে তা ভাবলে গা শিউরে ওঠে। খেলাপি ঋণ আদায় না করেই আমরা বলতে পারব দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো খেলাপি ঋণ নেই। ইনসাইড ল্যান্ডিং করেও আমরা বলতে পারব দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ঋণদানের ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার যথাক্রমে ৯ এবং ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। বাজার চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করেই মূল্য নির্ধারিত হয়। বাজার কি ৯ শতাংশ সুদে ঋণদানের মতো অবস্থায় আছে? খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে না পারলে কোনোভাবেই ঋণের সুদের হারকে সিঙ্গেল ডিজিটে বেশিদিন রাখা যাবে না। জোর করে গাধাকে পানিতে নামানো যেতে পারে; কিন্তু অনিচ্ছুক গাধাকে পানি পান করানো যায় না।
এমএ খালেক
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিষয়ক কলাম লেখক
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |