logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২০
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ
উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে

মাছে-ভাতে বাঙালি। আর এ দুটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ এবং সৃজনশীল উদ্ভাবনার ফলে এ সাফল্য উঠে এসেছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ। আধুনিক এবং নিত্যনতুন ধারণা নিয়ে অনেক তরুণ এখন মাছ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। আলোকিত বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাড়ির আঙিনায় অর্থাৎ উঠানে ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে সফল মোস্তাফিজ ও জহিরুল হক নামে দুই ব্যক্তি। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক চাষ করা দুটি ট্যাঙ্কের মাছ বিক্রি করা হয়েছে। জানা যায়, উদ্যোক্তাদের একজন বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে ২০১৯ সালে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানে মাছের চাষ শুরু করেন। এর আগে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখন তারা মাছ চাষের পাশাপাশি মাছের রেণু উৎপাদনের চিন্তাভাবনা করছেন। তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় অনেকেই এখন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এভাবে দুই উদ্যোক্তা নিজেদের পাশাপাশি আরও অনেকের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
আমরা লক্ষ করেছি, ইদানীং ঢাকা শহরে অনেকে ছাদ বাগান করে বিবিধ সবজি ও ফলের আবাদ করছেন। যেটা কয়েক বছর আগেও দেখা যায়নি। অর্থাৎ এখন ছোট জায়গাতেও বাগান করার সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষেও এখন আর পুকুরের প্রয়োজন হবে না। বাড়ির আঙিনায় ট্যাঙ্ক বসিয়ে সহজেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা সম্ভব হবে। আর এ ধরনের ট্যাঙ্ক বা খাঁচা তৈরি স্থানীয়ভাবেই সম্ভব। এতে মাছের খাদ্যের অপচয় রোধ এবং রোগবালাই কম হবে। বাড়ির উঠানে বা পতিত জমিতে ট্যাঙ্ক তৈরি করে মাছ চাষ করা যাবে অনায়াসে। দুই তরুণের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দেশের মৎস্যচাষে যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে আনতে পারে। গেল বছরের সেপ্টেম্ব^রে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সূত্রে প্রকাশ, মৎস্যসম্পদ (মাছ, আবরণযুক্ত জলজ প্রাণী ও শামুক) উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম স্থানে। আবার দ্য স্টেট অব ফিশ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০১৮ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চাষের ও প্রাকৃতিক উৎসের মাছ মিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। 
বলা যায়, দেশে মাছের সুদিন ফিরে এসেছে। এখন নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ব্যাপক হারে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে  আধুনিক পদ্ধতির পাশাপাশি স্থানীয় এবং নতুন উদ্ভাবনাগুলো আমলে নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের বিষয়টি সর্বত্র প্রচলনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে এ পদ্ধতি ব্যবহারে মাছ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য আসবে বলে দাবি করা যায়। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা গেল। 

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]