
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২০ | |
তিন সেঞ্চুরিতে সাউথ জোনের তোলা ৪৮২ রানের জবাবে দারুণ ব্যাট করছিলেন পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ইস্ট জোনের দুই ব্যাটসম্যান ওপেনিং ?জুটিতেই করে ফেলেন ১৪৬ রান। শুরুর মতো অবশ্য দিনের শেষটা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শেষে ইস্ট জোনের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৪ রান। অন্যদিকে সিলেটে মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে অল্প পুঁজি নিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেন্ট্রাল জোন। বাঁহাতি পেসারের বোলিং নৈপুণ্যে নর্থ জোনের বিপক্ষে মাত্র ১৭০ রান করেও প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে সেন্ট্রাল জোন। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পিনাক-আশরাফুল জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আশা। কাছে গিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন দুইজনই। দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছোঁয়ার আগে আশরাফুল ৭১ রান করে আবদুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হন। ১২৩ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার। আশরাফুল ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পিনাক। এ বাঁহাতি ওপেনার ৮০ রান করে ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ তুলে দেন। ১৫৩ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও একটি ছয়ের মার।
সম্ভাবনাময় দুটি ইনিংস থামার পর ইয়াসির আলি রাব্বি দেখিয়েছিলেন ভালো কিছুর আশা। রাজ্জাকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে তিনি থামেন ৪৪ রানে। ইস্ট জোনের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ২৮ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৫ রান করে আউট হন অফস্পিনার মেহেদী হাসানের বলে। ২৫০ পেরিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে দলটি। প্রতিপক্ষ থেকে ইস্ট জোন এখনও পিছিয়ে ১৯১ রানে। নাসির হোসেন ১০ ও জাকির হাসান ৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণাঞ্চলের দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নুরুল হাসান সোহানকে শুরুতেই হারায় তারা। এদিন কোনো রানই যোগ করতে পারেননি সোহান। আউট হয়েছেন ১৫৫ রানেই। সব মিলিয়ে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৯ রান যোগ করতে পারে দলটি।
মিরপুরে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে মোস্তাফিজ এক ইনিংস বোলিং করে দিয়েছিলেন ১০৬ রান। পাননি কোনো উইকেট। লাল বলে জৌলুস কিছুটা কমে যাওয়ায় জায়গা হয়নি পাকিস্তান সফরের টেস্ট দলে। এ বাঁহাতি পেসার জ্বলে উঠলেন ঠিকই, তবে একটু দেরিতে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পেস-কন্ডিশন পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এ পেসারের বোলিং তোপে প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ৮৯ রানের সঙ্গে এদিন ৭৭ রান যোগ করতেই নর্থ জোন গুটিয়ে যায় ১৬৬ রানে। মোস্তাফিজ পেয়েছেন ৪ উইকেট। আরিফুল হক ৫০ ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছেন ৪৭ রান। বোলিং উইকেটে আগে ব্যাট করে ১৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি সেন্ট্রাল জোন। ৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল। সেটি সামলে দলকে লড়াকু পুঁজির দিকে নিয়ে গেছেন আবদুল মজিদ ও তাইবুর রহমান। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মজিদ-তাইবুর যোগ করেন ৮৯ রান। আরিফুল হকের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তাইবুর করেছেন ৪৭ রান। ফিফটি পেরিয়ে মজিদ অপরাজিত ৬০ রানে। ২২ গজে এখন তার সঙ্গী শুভাগত হোম (১৪*)। দ্বিতীয় দিন শেষে সেন্ট্রালের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৪ রান।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |