logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২০
সীমান্তে হতাহত
শান্তি বজায় রাখতে হবে

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশ, ৪০ দিনে (২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে গেল বুধবার সকাল পর্যন্ত) দেশের সীমান্ত এলাকায় ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আর বেশি হত্যার শিকার হচ্ছেন সীমান্তে গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, শুধু যে সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে তা নয়; ভারতীয় সীমান্তের ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটারের ভেতরেও হত্যার ঘটনা ঘটছে। সংগত কারণেই সীমান্তে বসবাসরত নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, সীমান্তে চোরাচালান বা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ রোধ করা সীমান্তরক্ষীদের দায়িত্ব। এর অর্থ এই নয় যে, কাউকে চোরাচালানি বলে সন্দেহ হলেই তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করেও চোরাচালান দমন করা যায় এবং সেটাই সভ্য দুনিয়ার রীতি। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের বৈঠকে বহুবার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে অঙ্গীকার করা হয়েছিল। প্রতিবার বিজিবি ও বিএসএফের বৈঠকের যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতেও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে একমত প্রকাশ করা হয়। এসবের পরও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একের পর এক মানুষ হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ। দুই দেশের মধ্যে অনেক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের খাতিরে সীমান্তে হত্যার বিষয়টি ভারতকে আমলে নিতে হবে। দুই দেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হবে সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো, আর অন্যদিকে সীমান্ত হত্যা চলতেই থাকবেÑ এটা বৈপরীত্যপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের উচিত সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে লাগসই ও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়াস চালানো। দুই দেশেরই কর্তাব্যক্তিদের সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা জরুরি। অপরাধীর শাস্তি হবে আইন অনুযায়ী কিন্তু কোনোভাবেই হত্যা সমাধান হতে পারে না।
বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের শান্তি রক্ষার্থে সীমান্ত-অপরাধ দমন করে একে-অপরের পাশে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অবস্থান করবে এবং সীমান্তে যে কোনো অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিদ্যমান আইনে বিচারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বজায় রেখে হত্যা বন্ধ করবেÑ এটাই প্রত্যাশা। হ

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]