প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২০ | |
চীনের ইচাং শহরে চায়না থ্রী গর্জেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৭২ বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে মাদারীপুরের তিনজন। একজন মেডিকেলে এমবিবিএস শিক্ষার্থী আশিক হাওলাদার আবির জেলার শিবচরের শিরুয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুরাদ হাওলাদারের ছেলে। লিখিতভাবে চীন থেকে আবির এসব শিক্ষার্থীদের আটকে পড়া অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আবিরের লিখিত আবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলোÑ “ইতোমধ্যেই
উহান নভেল করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন। যেটা কিনা চায়নার হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে উৎপত্তি হয়েছে এবং এ প্রদেশের বিভিন্ন শহরগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হুবেই প্রদেশেরই অন্যতম একটি শহর হচ্ছে ইচাং যা কিনা করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল উহান শহর থেকে মাত্র ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ইচাং শহরে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় চায়না থ্রী গর্জেজ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের ৫০টি দেশের ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে ২৪০ জন ছাত্রছাত্রী। শীতকালীন ছুটি উপলক্ষে প্রায় ৬৮ জন ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল (যখন কিনা করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়নি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রয়ে গিয়েছে আরও ১৭২ জন। বর্তমান জরিপ অনুযায়ী ইচাং শহরে ৫০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। ২৩ জানুয়ারি ২০২০ থেকে আমাদের শহর ইচাং লক ডাউন করেছে চায়না সরকার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ব্যতীত। ট্রেন স্টেশন, এয়ারপোর্ট এবং শহরে সব ধরনের যান চলাচল, এমনকি শহরে বাজার ঘাট, সুপার শপসহ ছোট দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো সিলড করা হয়েছে। যার দরুন ১৭২ বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী হলের ভেতর বন্দি জীবন অতিবাহিত করছে মারাত্মক আতঙ্কিত অবস্থায়। আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছে যখন আমরা শুনেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসের জীবাণু নিয়ে রোগী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। শুধু আতঙ্ক নয়, রয়েছে মারাত্মক খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মানসিক দুশ্চিন্তায় এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে দুইজন বাংলাদেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে ১৭২ জন ছাত্রছাত্রীর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনই পরিবার-পরিজনের আহাজারি শোনা যাচ্ছে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে। এর মধ্যে উহান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা ৩১২ জন ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা বারবার চায়নার বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কথা বললে দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রথম দিকে আশ্বাস দিলেও অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বর্তমানে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশার বাণী শুনতে পারা যায়নি। মন্ত্রিপরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৭২ জন শিক্ষার্থীকে চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে দাপ্তরিক জটিলতার কারণে আটকে গেছে সেসব প্রক্রিয়া। এখনও সবার আকুল আবেদন সরকারি হস্তক্ষেপে নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়ার।’
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |