logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২০
জনপ্রিয়তার জন্যই বন্দি কাশ্মীরি মুখ্যমন্ত্রী

উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যখন তুঙ্গে, একযোগে যখন ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, সে পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের করে আনতে পেরেছিলেন তিনি। তাদের ভোট দেওয়াতে পেরেছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে বন্দি করার পেছনে তার এ জনপ্রিয়তাকেই দায়ী করল কেন্দ্রীয় সরকার। ওমর আবদুল্লাহ কতটা প্রভাবশালী তা তুলে ধরতে আগের সেই ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হলো।
কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার সিদ্ধান্ত নিলে, গেল বছর ৫ আগস্ট ওমর আবদুল্লাহকে আটক করা হয়। ছয় মাস ধরে উপত্যকায় বন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি জননিরাপত্তা আইনেও অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের একটি নথি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। তাতে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) সহ-সভাপতি ওমরের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তিনি উগ্রবাদী চিন্তাধারাকে সমর্থন করেন এবং যা তিনি কাজেও করে দেখিয়েছেন।’ যদিও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণের উল্লেখ নেই ওই নথিতে।
যে কোনো বিষয়ে মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাও ওমরের রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই নথিতে। বলা হয়েছে, ‘উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যখন তুঙ্গে, ভোট বয়কটের ডাক উঠেছিল সর্বত্র, সে সময়ও সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের করে ভোট দেওয়াতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এ থেকেই আন্দাজ করা যায়, মানুষকে প্রভাবিত করার কতটা ক্ষমতা রয়েছে তার।’
ওমর উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বিরোধিতা করেছিলেন এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষার বিরুদ্ধে টুইটারে মানুষকে উসকানি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে ওই নথিতে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে ওমরের টুইটার হ্যান্ডল থেকে কোনো উসকানিমূলক পোস্ট দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওমরের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেষ যে টুইটটি পোস্ট হয়েছিল, তাতে শান্তি এবং সংযমের কথাই বলা ছিল।
রাজনীতির আড়ালে ওমর সরকারবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ছিলেন তিনি। সরল মনে মানুষ তাকে সমর্থন করলেও এ ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বিলোপের পর মানুষের সমর্থন জোগাড় করতেই স্বমূর্তিতে ধরা দেন তিনি। নোংরা রাজনীতিতে ভর করে সরকারি নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে উসকানি দিতে শুরু করেন।’ দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বন্দিদশায় দিন কাটছে ওমরের। বন্দি রয়েছেন তার বাবা ফারুক আবদুল্লাহও। সে অবস্থায় ওমর মানুষকে ইন্ধন জোগাচ্ছেন কীভাবে, তার সদুত্তর মেলেনি ওই নথিতে।

হ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]