প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২০ | |
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকার উদ্যোগ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই মিয়ানমার তাদের ফেরত নেবে বলে সরকার আশা করছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সোমবার বিকালে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, যে কোনো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াই জটিল
ও দীর্ঘমেয়াদি। রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারকে রাজি করানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ শিগগিরই রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
একই প্রশ্নের জবাবে একে আবদুল মোমেন জানান, ওআইসির পক্ষ থেকে গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। মামলার শুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি রায় প্রদান করা হয়েছে। আইসিজেতে শুনানিকালে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চি তার দেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা প্রতিরোধে মিয়ানমারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, আইসিজের দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। একই সঙ্গে সেখানে রাখাইন নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফলে বাংলাদেশের শিবিরগুলোয় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে আস্থা জোগাবে। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ ও ফোরামে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পঞ্চম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বিদ্যমান সমস্যা সামাধনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিএনপিদলীয় সদস্য মো. হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারত সফর করেন। ৫ অক্টোবর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌপরিবহন, অর্থনীতি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি সংক্রান্ত সাতটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |