প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০ | |
সাত দিন আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করায় কঠিন পরিস্থিতিতে আবাহনী। এএফসি কাপে টিকে থাকতে হলে প্লেঅফের রাউন্ড ওয়ানে ফিরতি ম্যাচে আজ শক্ত পরীক্ষা দিবে মাজিয়ার বিপক্ষে; তাও কি প্রতিপক্ষের মাঠ মালেতে! মারিও লেমোসের দলকে জিততেই হবে কিংবা ৩-৩ গোলে ড্র করতে হবে। ২-২ গোলে ড্র হলে ভাগ্য নির্ধারণে যেতে হবে টাইব্রেকারে। ১-১ গোলে ড্র হলে প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে মাজিয়া চলে যাবে পরের পর্বে।
আশি-নব্বই দশকে মালদ্বীপের কোনো দলের বিপক্ষে এমন লক্ষ্য থাকলে নিশ্চিত জয় ধরেই মাঠে নামতেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু সময়স্রোতে চিত্র পুরো বিপরীত! নিউ রেডিয়েন্ট, টিসি স্পোর্টস, মাজিয়াÑ তিন দলের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময় জিততে পারেনি ঢাকার কোনো ক্লাব; সর্বোচ্চ সাফল্য আবাহনীর ড্র! এটাকেই বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ‘উন্নতি’ দেখছেন পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। পরের পর্বে ওঠার পথে আবাহনীর জন্য সমীকরণকে বাড়তি চাপ মনে করছেন না কোচ, নিচ্ছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
নিজেদের মাঠের ভুলগুলো শুধরে সমীকরণ মেলানোর আশা লেমোসের। আবাহনী কোচকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে গেল আসরে মিরেনভা পাঞ্জাবকে শেষ ম্যাচে হারানোর স্মৃতি, ‘দুটি অ্যাওয়ে গোল পাওয়ায় মাজিয়া একটু এগিয়ে; তবে এটা ভিন্ন একটি ম্যাচ হবে। কেননা, আমরা এরই মধ্যে তাদের খেলার ধরন সম্পর্কে জানি। প্রথম লেগে আমরা ভালো করিনি; সেই ভুলগুলো অনুশীলনে শুধরে নিয়েছি। মাজিয়া মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। গোল করার ব্যাপারে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। গেল বছর আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম, যখন সেমিফাইনালে যেতে হলে মিনেরভা পাঞ্জাবকে হারাতে হবে এবং সেটা করতে পেরেছিলাম। গোল করার জন্য আমাদের যথেষ্ট মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে এবং আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো ম্যাচেই আমরা গোল করতে পারি।’ কোচের সুরে সুর মিলিয়েছেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। মাজিয়াকে সমীহ করলেও গেল লিগে ১৬ গোল করা এ ফরোয়ার্ডের বিশ্বাস, গ্রুপ পর্বে ওঠার প্লে-অফে খেলার সুযোগ আছে তাদের।
রোববার রাতে মালে পৌঁছায় আবাহনী, সোমবার বিকালে মাঠে নামেন লেমোস শিষ্যরা। তবে অ্যাস্ট্রো টার্ফে অনুশীলন করতে গিয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো তাদের। ঢাকায় মলটেন বল দিয়ে খেললেও মালেতে গিয়ে দেখা গেল ফুটবলই বদলে গেছে, অনুশীলন করতে হয়েছে অ্যাডিডাস বলে। এ নিয়ে লেমোস কিছুটা চিন্তিত, ‘ঢাকায় মলটেন বল দিয়ে খেলেছি, অনুশীলন করেছি। কিন্তু মালেতে অ্যাডিডাস বলে অনুশীলন করতে হয়েছে, বলের মান ভালো। তবে টার্ফে এমনিতে বল কিছুটা বাউন্স হয়। তাই কিছুটা চিন্তিত। ঘাসের মাঠে ফুটবলাররা কতটুকু মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।’ মালের গরম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করতে হচ্ছে মামুনুলদের।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |