logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০
মৃত্যু হাজার ছাড়াল
করোনা ভাইরাস
আলোকিত ডেস্ক

নতুন করোনা ভাইরাস চীনে এক দিনেই কেড়ে নিয়েছে শত মানুষের প্রাণ; সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে এ ভাইরাসে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে। কিছু এলাকায় চলাফেরায় কড়াকড়ি শিথিল করায় আতঙ্ক নিয়েই বিভিন্ন দপ্তর ও কারখানায় কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার একদিনেই এ ভাইরাসে মারা গেছেন ১০৮ জন; তাদের মধ্যে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে হুবেই প্রদেশে। গেল বছরের শেষদিন এ হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ার পর থেকে এক দিনে এত বেশি মৃত্যুর খবর আর আসেনি। সব মিলিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬ জনে। আর চীনের মূল ভূখ-ের বাইরে এ পর্যন্ত ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে দুই চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ ভাইরাসে, যাকে বলা হচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাস। চীনের মূল ভূখ-ে এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন জাপানি ও একজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন, বাকিরা সবাই চীনা নাগরিক। 
সোমবার নতুন ২ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জনে। চীনের বাইরে অন্তত ২৫টি দেশে ২৫০ জনের বেশির দেহে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএনএন।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক বাংলাদেশির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ায় রোববার তাকে নেওয়া হয়েছে আইসোলেশন ইউনিটে। তবে বাংলাদেশে কারও মধ্যে অথবা চীনে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশির মধ্যে এ ভাইরাস সংক্রমণের খবর আসেনি এখনও। বিভিন্ন দেশে মানুষ থেকে মানুষে নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকায় ৩০ জানুয়ারি এ ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক উপসর্গ হয় ফ্লু বা নিউমোনিয়ার মতো। কিন্তু বয়স্ক এবং অন্য অসুস্থ থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ সংক্রামক রোগ হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। এর কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সাধারণভাবে সেগুলো সারানোর জন্যই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অবস্থা গুরুতর হলে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৯৬ জন ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে এবারের করোনা ভাইরাস ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২০০২-০৩ সালের সার্সের প্রাদুর্ভাবকে। শনিবার ছাড়িয়ে গেছে মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়েও।
২০০২-০৩ সালে করোনা ভাইরাস পরিবারের আরেক সদস্য সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্র্র্রোমে (সার্স) মৃত্যু হয়েছিল সব মিলিয়ে ৭৭৪ জনের। সার্স সে সময় ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের দুই ডজন দেশে; আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১০০ জনের কাছাকাছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]