
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০ | |
সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। বেলা ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, অপরাংশের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ ও ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাসহ সাংবাদিক নেতারা। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে সাগর সরওয়ারের মা মোবাইলের মাধ্যমে অডিওকলে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। সমাবেশে উপস্থিত সবাই কালোব্যাজ ধারণ করে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
নেতারা আরও বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনীকে হত্যা করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হত্যাকা-ের পর আট বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের আজ পর্যন্ত শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। অবিলম্বে চাঞ্চল্যকর এ মামলার খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তারা। সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, সাগর-রুনীর হত্যাকারীরা বিচারের আওতায় আসবে। তাদের পরিবারসহ সাংবাদিক সমাজ ন্যায়বিচার পাবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত কাউকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলব, আপনি এখনই নির্দেশ দেনÑ যাতে করে সাগর-রুনীর হত্যাকারীরা ধরা পড়ে। একই সঙ্গে বিচারের দাবিতে ডিআরইউ’র সদস্যদের স্বাক্ষরসংবলিত একটি স্মারকলিপিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আট বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |