logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২০
মেয়াদপূর্তির পর ১৯ মাস পার
বনায়নের গাছ কাটতে টালবাহানা
সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, মৌলভীবাজার

 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মেয়াদপূর্তির পরও বনবিভাগ সামাজিক বনায়নের গাছ কাটতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা। এতে তারা জীবিকা নির্বাহে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান। উপকারভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের সর্বস্ব দিয়ে বনায়ন সৃজনের কাজ করেছেন। কিন্তু বনবিভাগের টালবাহানায় ১৯ মাস ধরে গাছগুলো কাটা হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন। দীর্ঘ ১০ বছর বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ তুলে তারা জীবিকা নির্বাহ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে পরিচর্যা ও পাহারা দিয়ে এসব গাছ বিক্রি করার পর্যায়ে নিয়ে আসেন। লভ্যাংশের টাকায় তারা ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু তাদের সে আশায় এখন গুড়ে বালি। উপকারভোগীর পক্ষে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা জানান, তারা কালাপুর গ্রামের ৩১ উপকারভোগী ২০০৭-০৮ সালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন চাউতলী বন বিটে ৩০.৩৭ হেক্টর ভূমিতে প্রায় ৭ হাজার বনজ, কৃষিজ, ফলদ বৃক্ষরোপণ করেন। চুক্তিকালে এ বনে চার বছর বয়সি কিছু গাছ আগেই ছিল। ২০১৮ সালের ১ জুলাই এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। চুক্তি অনুসারে, ১০ বছর পর এসব গাছ কর্তন করে বিক্রয় করবে বনবিভাগ। এ বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৪৫ শতাংশ বন অধিদপ্তর, ৪৫ শতাংশ উপকারভোগী আর বাকি ১০ শতাংশ ট্রি ফার্মিং ফান্ডে জমা হওয়ার কথা। বনবিভাগের সঙ্গে সামাজিক বনায়নের চুক্তি হওয়ার পর থেকেই তারা গাছ ও সরকারের সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় নিজেদের অর্থে নৈশ চৌকিদার নিয়োগ করেন। উপকারভোগীরাও নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে দিনরাত পাহারা দেন। ১০ বছরে এ বন বিটে সামাজিক বনায়নের একটি পুরোনো গাছ চুরির কোনো রেকর্ড নেই। তাছাড়া সামাজিক বনায়ন বা বাফার জোনে বনের প্রাণীদের খাদ্য জোগান দেয় এমন গাছ রেখে অন্যগুলো কাটার জন্য তারা স্থানীয় বনবিভাগকে বলেছেন। কিন্তু বনবিভাগ গাছ কাটতে টালবাহানা করছে। সর্বস্ব দিয়ে সৃজন করা এ বনায়নকে কেন্দ্র করেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীদের জীবনযাত্রা পরিচালিত। অনেকেই বাগান রক্ষা করতে নানা সমিতিসহ বিভিন্ন জনের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। এসব ঋণ শোধ করতে অনেক পরিবার গাছ বিক্রয়লব্ধ ৪৫ শতাংশ টাকার অপেক্ষায় দিনানিপাত করছে। দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে নানা অজুহাতে সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন না করায় অনেক পরিবার এখন প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাই বন ও পরিবেশমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে দ্রুত গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান। একই সঙ্গে বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৩১ উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আনিছুর রহমান বলেন, উপকারভোগীরা ন্যাচারাল গাছের ভেতরই বাগান করেছিলেন। এখন যদি তারা ন্যাচারাল গাছ রেখে তাদের সৃজন করা গাছ কাটতে চান, তাহলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। তারা বনবিভাগ বরাবর আবেদন দিলেই আমরা কাটতে দেব।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]