logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২০
বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত
সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটি আজ কারও কাছে লুক্কায়িত নেই। সর্বজন স্বীকৃত। এক সময় দেশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এক দশকে আমরা বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টি আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কেউ আমাদের উন্নয়ন না দেখলে তা তাদের দেখার ভুল। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দেশের মানুষ অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফল ভোগ করছেন। মঙ্গলবার সংসদের রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর আলোচনা ও ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 
৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া অধিবেশনটি ২৮ কার্যদিবসে রাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যাংকে টাকা নেই এ কথা সত্য নয়। টাকা না থাকলে আমরা এতগুলো উন্নয়নকাজ কীভাবে করছি। আমাদের ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে, যা দিয়ে আমাদের ছয় মাসের খাদ্য কেনা যাবে। 
ব্যাংকের টাকার সংকট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টাকা আছে বলেই আমরা অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রসঙ্গে তিনি ৬৮৫ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আমরা সেগুলো মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিই। যেমন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি যাতে চীনে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে না পারে। ডেঙ্গু নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মশার ব্যাপারে আমাদের নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের বাড়িঘর, আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে মশা জন্মাতে না পারে। মশা যদি জন্মাতেই থাকে তাহলে তা তো মুখে ঢুকবেই। নারী ও শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটা খেলা শুরু হয়। এর কারণ মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় একসঙ্গে বেশি কিনে থাকে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে ওষুধের কাঁচামালসহ অন্য কাঁচামালগুলো আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। 
বন্দর-স্টেশনে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর : দেশের সব বন্দর, স্টেশনসহ যেসব জায়গায় স্ক্যানার মেশিনের প্রয়োজন, ওইসব জায়গায় স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। 
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সব বন্দর ও স্টেশনে পণ্য পরীক্ষা করার স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পণ্য খালাস হয় সেখানেই স্ক্যানার মেশিন বসাতে হবে। এছাড়া পরিবেশ উন্নয়নে ঢাকা শহরে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে এবং সড়কের দুই পাশে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পরিবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই চিন্তিত। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক করতে বলেছেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা তিনি আগে বলেছেন। বর্জ্য দিয়ে বিদেশি কোম্পানি যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়, তবে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এমএ মান্নান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জলাশয় পরিষ্কার রাখতে বলেছেন, যাতে ব্রিজ ভেঙে গেলে অথবা নির্মাণকালীন সময়ে নৌকাসহ অন্য জলযান দিয়ে পারাপার করা যায়। ভাটি অঞ্চলে চলাচল সমস্যা না হয়। জরুরি ভিত্তিতে মানুষজন যাতে চলাচল করতে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]