logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২০
বিশ্বের কাছে অক্টামম নাটালি সুলেমান
অ ন্য র ক ম
আলোকিত ডেস্ক

নাটালি ডেনিস সুলেমান। সারা বিশ্ব তাকে অক্টামম নামেই চেনে। একসঙ্গে আট সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। আর সব মিলিয়ে তার সন্তান সংখ্যা ১৪! ক্যালিফোর্নিয়ার ফুলারটনে জন্ম নাটালির। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। মা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষিকা এবং বাবা রেস্তরাঁর মালিক।
ক্যালিফোর্নিয়াতেই তার বেড়ে ওঠা। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার লা পুয়েনটির নোগালেস হাই স্কুলে পড়েছেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করেন। তারপর তিন বছর ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাদেশিক মানসিক হাসপাতালে কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে নাটালি বিয়ে করেন মার্কো গুতারেজ নামে এক যুবককে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০০০ সাল থেকেই তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০০৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন জানান। ২০০৮ সালে তাদের আইনত বিচ্ছেদ হয়। জানা যায়, বারবার চেষ্টা করেও সন্তান আসেনি নাটালির। এ নিয়েই দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর সে কারণেই ক্রমে তাদের বিচ্ছেদও হয়। স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়, তা জানার পর থেকেই নাটালি চেয়েছিলেন টেস্টটিউব বেবি নিতে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় রাজি ছিলেন না তার স্বামী মার্কো।
বিয়ের এক বছর পর থেকেই নাটালি আইভিএফের জন্য চিকিৎসা করাতে শুরু করেন। তার বয়স তখন মাত্র ২১ বছর। ২০০১ সালে নাটালি প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। ২০০২ সালে ফের আইভিএফে তার এক মেয়ের জন্ম হয়। এতেই থেমে থাকেননি তিনি। তারপরও বারবার আইভিএফের সাহায্য নিয়ে পরপর ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাদের মধ্যে চার ছেলে এবং দুই মেয়েসন্তান। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনে আগে টেস্টটিউবের মধ্যে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর নিষেক ঘটানো হয়। তারপর সেই ভ্রুণ স্থানান্তর করা হয় জরায়ুর মধ্যে। সবক্ষেত্রেই এ নিষেক এবং জরায়ুর মধ্যে ভ্রুণের বেড়ে ওঠা সফল হয় না। সে কারণে চিকিৎসকরা একাধিক ভ্রুণ তৈরি করে থাকেন। নাটালির ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল। ছয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও পরীক্ষাগারে তখনও ছয়টা ভ্রুণ অবশিষ্ট ছিল। ২০০৯ সালে সেসব ভ্রুণই জরায়ুতে স্থানান্তরের কথা চিকিৎসককে জানান নাটালি। পরে জানা যায়, সুলেমানের চিকিৎসক ছয়টার বদলে মোট ১২টা ভ্রুণ তার জরায়ুতে স্থানান্তর করেছিলেন। আর সেই ভ্রুণগুলো থেকে একসঙ্গে আট সন্তানের জন্ম দেন তিনি। একসঙ্গে আট সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। পরে ২০১১ সালে বেআইনিভাবে এতগুলো ভ্রুণ সুলেমানের জরায়ুতে স্থানান্তর করার জন্য ওই চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া মেডিকেল বোর্ড। আনন্দবাজার

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]