logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২০
চাঁদপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
শওকত আলী, চাঁদপুর

দেশে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষক ও জমির মালিকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে এ বছর চাঁদপুরের আট উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় থাকলেও ৮৮৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে চরাঞ্চলের উপজেলা হাইমচরে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আবাদে কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। গেল বছর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এরপর থেকে কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদনে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগ দেন। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চরাঞ্চলসহ প্রত্যেক উপজেলায় কমবেশি পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়। আবাদ শেষ হয়েছে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের ফলন হয়। এরপর থেকে কৃষক খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে বাজারজাত করবেন। কৃষি অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, এ বছর পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে জেলা সদরে ১৬৫ হেক্টর, হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলে ৫৫০, মতলব উত্তর উপজেলায় ১০, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৬০, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১৫, কচুয়া উপজেলায় ৩০, শাহরাস্তি উপজেলায় ৩ এবং হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫৫ হেক্টর। চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের কৃষক মঞ্জুরুল আলম জানান, তিনি এ বছর নিজ উদ্যোগে ২০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত জমির অবস্থা ভালো। বাকি সময় আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। একই ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম মৃধা জানান, তিনি প্রতি বছরই পেঁয়াজ আবাদ করেন। এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নোয়খালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ফল উৎপাদন হিসেবে তাহেরী জাতের পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হয়েছে। এ বছরই প্রথম এ জাত চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ জাতে রোগবালাই কম হয় এবং এক কন্দের পেঁযাজ গজানোর হার বেশি। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা আবদুল মানান জানান, চাঁদপুরের অধিকাংশ কৃষক ধান এবং পেঁয়াজের বীজ বিএডিসি থেকে সংগ্রহ করেন। আবার কিছু কৃষক বাজার থেকেও ক্রয় করেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে কিছু কৃষক অন্য ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে পেঁয়াজ আবাদ একটু দেরিতে হয়েছে। একই কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর ৬২ হেক্টর জমি আবাদে আসেনি। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, পেঁয়াজসহ সব কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কৃষককে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৮ থেকে ৯ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। এতে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]