
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২০ | |
শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের অন্যতম সহযোগী মাজহারুল ইসলাম ওরফে শাকিলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব?্যাটালিয়ন (র্যাব)। ক্যাসিনোবিরোধী টানা অভিযানে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে স্থবিরতার সুযোগে দুবাই থেকে ঢাকায় আসে শাকিল। শনিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
সারওয়ার বিন কাশেম জানান, গ্রেপ্তার শাকিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুবাই থেকে দেশে আসে। মূলত তার দেশে আসার উদ্দেশ্য হলো শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নির্দেশ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা। রাজধানী ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের জিসানের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। সারওয়ার বলেন, শনিবার ভোর রাত ৫টার দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাকিল একটি সিএনজিতে যাচ্ছিল। চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে তার কোমরে গোঁজা অবস্থায় দুটি বিদেশি পিস্তল দুটি ম্যাগাজিন ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি শীর্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী
সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী মাজহারুল ইসলাম শাকিল। তিনি আরও জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বিদেশে থাকলেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে শাকিলের মতো কয়েকজন সহযোগী দিয়ে। ব্যবসায়ী ও অর্থ-বিত্তশালীদের তারা টাগের্ট করে, দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা। এরকম বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। শাকিলের চাঁদাবাজির সংশ্লিষ্টতার নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সারওয়ার বিন কাশেম আরও জানান, ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন শাকিল। পরে ঢাকা মহানগরের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়। ২০০৯ সাল থেকে যৌথভাবে টেন্ডার কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। রেলওয়েতে ছোট ছোট কাজের টেন্ডার নিয়ে কাজ করত। এভাবে ২০১০-১২ সাল পর্যন্ত বই টেন্ডার নিয়ে কাজ করে। ২০১৩ সালে গ্রামের বাড়ি ফেনীতে চলে যান এবং পারিবারিক দোকানে কাজের পাশাপাশি গ্রাম্য রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে আবার ঢাকায় আসেন এবং রাজনীতি শুরু করেন। কিন্তু যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং রেলওয়ের টেন্ডার কাজ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সহসম্পাদক রাজিব হত্যার এজাহারে নাম আসার চার দিন পর শাকিল চীনে চলে যান। ২০১৭ সাল পর্যন্ত চীনে বসবাস করে এবং কার্গো সার্ভিসের কাজ করেন। ২০১৮ সালে চীন থেকে দুবাই চলে যান এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দুবাইয়ে ছিলেন। দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং পরে জিসানের পক্ষে লেবার ব্রোকারের কাজ করতেন। দুবাইয়ে জিসানের সঙ্গে লেবার আবাসিক ভবন ছিল সেই ভবনে থেকে তারা তাদের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা এবং সেখান থেকেই তাদের বিভিন্ন সহযোগীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। শাকিল ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারিতে দেশে আসে। তিনি রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতালের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |