
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২০ | |
যেসব শিশুরা লম্বা সময় নিষ্ক্রিভাবে বসে কাটায় তাদের ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সি ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭১২ জনের সক্রিয়তার মাত্রা যাচাই করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। খবর বিবিসি বাংলার
প্রতিদিন অতিরিক্ত ১ ঘণ্টা হাঁটা বা ঘরের কাজ করার মতো হালকা সক্রিয়তা প্রদর্শন করে থাকে যারা, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মধ্যে বিষণ্নতার চিহ্ন অপেক্ষাকৃত কম প্রকাশ পায়। গবেষণাটি থেকে ধারণা করা যায় যে, সব বয়সের মানুষেরই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। গবেষণায় অংশ নেওয়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়াসি শিশুরা টানা তিন দিন অন্তত ১০ ঘণ্টা ধরে অ্যাক্সেলারোমিটার পরে থাকে। এ যন্ত্র থেকে পাওয়া মান থেকে বোঝা যায় যে তারা স্থির হয়ে বসে ছিল, হালকা শারীরিক কার্যক্রমে- যেমন হাঁটা অথবা হালকা থেকে তীব্র কায়িক শ্রম বা দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোতে নিয়োজিত ছিল। শিশুরা একটি জরিপের প্রশ্নের জবাবও দেয় যেখানে তাদের বিষণ্নতার ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয় তাদের মনোযোগ নষ্ট হয় কি না, সুখের অনুভূতি কমে যায় কি না এবং মানসিকভাবে বিষণ্ন বোধ করছেন কি না। ১২ এবং ১৬ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তা কমে গেলে বসে থাকা বা অলসতার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
গবেষণায় পাওয়া গেছে : দিনে ৭ ঘণ্টা থেকে বেড়ে বসে থাকার প্রবণতা হয়েছে সাড়ে ৮ ঘণ্টায়, হালকা শারীরিক কার্যক্রমের হার সাড়ে ৫ ঘণ্টা থেকে কমে ৪ ঘণ্টায় নেমেছে এবং হালকা থেকে তীব্র শারীরিক কার্যক্রমের হার ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়সে অতিরিক্ত প্রতি ১ ঘণ্টা নিষ্ক্রিয় শিশুরা বেশি ভোগে
বসে থাকার ফলে গবেষণায় অংশ নেওয়াদের বিষণ্নতার স্কোর যথাক্রমে বেড়েছে ১১.১ শতাংশ, ৮ শতাংশ ও ১০.৭ শতাংশ। যেখানে হালকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তাদের বিষণ্নতার রস্কার ৯.৬৫, ৭.৮৫ ও ১১.১ শাতংশ করে কমেছে।
কম সময় বসে থাকুন : ইউসিএলের মনোরোগ বিভাগের পিএইচডি’র ছাত্র ও প্রধান গবেষক অ্যারন কান্ডোলা বলেন, শুধু যে কঠিন শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নয়। যে কোনো ধরনের শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব বয়সের মানুষকেই বেশি করে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিত, যার ফলে কম সময় বসে থাকা হবে এবং তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। শঙ্কার বিষয় হলো, তরুণদের নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকার হার বাড়লেও এ বিষয় নিয়ে কোনো বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি। বিষণ্নতায় ভুগছে, এমন তরুণদের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। ক্যামডেন অ্যান্ড আইলিংটন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সিনিয়র গবেষক ডক্টর জোসেফ হেইস বলেন, হালকা শারীরিক কার্যক্রম বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে যেহেতু সেগুলোর জন্য বিশেষ সময় বা প্রচেষ্টা করতে হবে না।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |