
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০ | |
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশেও; বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজারের বেশি দাঁড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৬৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৭১৫ জনই মারা গেছেন চীনে। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে অন্য দেশেও চীনের মতোই মৃত্যুহার দেখতে হবে বলে মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। এরই মধ্যে বিশ্বের ৪৩ দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া জাপানের ইয়োকোহামা উপকূলে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ক্রুজ জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসে এ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। চীনের পর এশিয়ায় এ ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছছে ১ হাজার ১০০-এর বেশি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির সেনাসদস্যদের মধ্যে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন সেনা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে ইউরোপে ইতালি হয়ে উঠেছে নভেল করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কেন্দ্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৫ জন। ইউরোপের সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, অস্ট্রিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার পাশাপাশি আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রথমবারের মতো নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের সবাই আক্রান্ত হয়েছেন ইতালি থেকে। কয়েকদিনে এ ভাইরাস যে গতিতে ছড়িয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রেও এ রোগের ব্যাপক বিস্তার অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কোভিড-১৯। গেল ডিসেম্বরের শেষে মধ্য চীনের উহান থেকে মানুষের মধ্যে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি দ্রুতগতিতে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় কারণে বিশ্ব মহামারির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যানুযায়ী, দেশটির মূল ভূখ-ে ৪১৫ জনের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৬৪ জনে। আর বিশ্বে এ সংখ্যা ৮১ হাজার ২৩৪ জনের দাঁড়িয়েছে। চীনে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ করোনা ভাইরাসে, সব মৃত্যুই ঘটেছে হুবেই প্রদেশে, যে অঞ্চলকে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রভূমি বলা হচ্ছে। চীনের মূল ভূখ-ে নতুন করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের বাইরে তাদের মধ্যে ইরানে ১৯, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১২, ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে চার, ইতালিতে ১১, জাপানে দুই, হংকংয়ে দুই, ফ্রান্সে দুই এবং তাইওয়ানে ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন। ঠিক কীভাবে করোনা ভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই। এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুর হার রয়েছে ২ শতাংশের নিচে, যা সার্সের চেয়ে কম। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চীনের মধ্যেই ছিল বেশি। কিন্তু গেল এক সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। এরপর তা ছড়াতে শুরু করেছে আরব ও মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সেখানে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯০ জনে। দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং এক এমপিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ইরানের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। কয়েকটি দেশ ইরান ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে ধুঁকতে থাকা ইরানের অর্থনীতি নতুন করে বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে। বিডিনিউজ
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |