বরিশাল জিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থানান্তর করার চূড়ান্ত নির্দেশনা এসেছে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৭ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (বিশ্ববিদ্যালয়) পক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় লিখিত এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার লিখিত কপি বিভিন্ন দফতর হয়ে পর্যায়ক্রমে দুই দিন আগে জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। নির্মাণাধীন দুটি সরকারি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং জিলা স্কুলের মধ্যে জটিল সমস্যা সমাধানকল্পে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৩০ জুন এর মধ্যে জিলা স্কুলের ভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান এবং ববির কেয়ারটেকার। স্কুল ভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে স্থানান্তর সংক্রান্ত কাজ করবে এ কমিটি। ভবন জটিলতা নিয়ে ১৭ জানুয়ারি ওই সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন ববি ভিসি ড. এস এম ইমামুল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রুহী রহমান, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরের সাতটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হোসনে আরা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লায়লা আরজুমান্দ বানু এবং জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন। সভার একদিন পর অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) ও উপসচিব লায়লা আরজুমান্দ বানু লিখিত ওই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন।