আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বলেছেন, ছয় ভাড়াটে খুনিকে টাকা দিয়ে তিনি তার স্বামী প্রবাসী ময়নালকে খুন করে লাশ গুম করেছেন। বিদেশ থেকে পাঠানো স্বামীর অর্থে কেনা সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং পরকীয়া প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই গত বছর ১ নভেম্বর খুন হন সৌদি প্রবাসী ময়নাল হোসেন।
নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আদালতে দেয়া তার স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালালেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিবি পুলিশ লাশের সন্ধান পায়নি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকাবপুর নোহাটি গ্রামের আবদুল কাদিরের সৌদি প্রবাসী ছেলে ময়নাল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার জাড্ডা হাহাতি গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে তাছলিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো স্বামীর অর্থে কেনা সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং শরীফুল ইসলাম নামের এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাছলিমা পরকীয়ার কারণে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। পরে তাছলিমার পরিকল্পনা মোতাবেক ১ নভেম্বর গভীর রাতে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ছয় সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে রাতেই ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার পর সন্ত্রাসীরা ওই প্রবাসীকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির অদূরে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। ৮ মার্চ ডিবি পুলিশ নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার এবং পর দিন তার প্রেমিক শরীফকে গ্রেফতারের পরই প্রবাসী ময়নালকে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, আদালতে দেয়া নিহতের স্ত্রীর জবানবন্দি মোতাবেক অন্যান্য ঘাতকদের গ্রেফতার ও নিহতের লাশ উদ্ধারে কয়েকটি স্থানে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।