আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৩-২০১৬ তারিখে পত্রিকা

তেল গ্যাসের সম্ভাবনা

বাপেক্সের অনুসন্ধান চলছে বগুড়ায়

বগুড়া সংবাদদাতা
| শেষ পাতা

বগুড়ায় তেল-গ্যাসসহ খনিজসম্পদ পাওয়ার আশায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। বগুড়ার সারিয়াকান্দি, গাবতলী ও সদরে এ অনুসন্ধান চলছে। বাপেক্স কর্মকর্তারা বলছেন বগুড়ার এ অঞ্চলে গ্যাস বা তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা থেকেই তারা বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাপেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ মার্চ থেকে আবারও কাজ শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর এলাকায় এ অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত রয়েছে। 
বাপেক্সের সহকারী ম্যানেজার সামসুল হুদা পারভেজ বলেন, তাদের মূল কাজ চলছে এখন যমুনা নদীর পূর্ব প্রান্তে জামালপুরের মাদারগঞ্জে। সেখানে মাটির প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন নদীর তলদেশ হয়ে সারিয়াকান্দি ও গাবতলী পয়েন্টে মাটির ধরন একই রকম হওয়ায় তারা এ অঞ্চল সার্ভে করছেন। তিনি জানান, মাটির নিচে প্রায় ৭৫ মিটার খনন করার পর সেগুলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষার পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাপেক্স। আপাতত বিষয়টি শুধু পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। 
পেট্রোবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন মৃধা জানান, এখনও আমরা নিশ্চিত না যে, কী পাওয়া যাবে। তবে অনুসন্ধান চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় এ অনুসন্ধানের কাজ চলবে। বাপেক্সের ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী  এ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিচ্ছেন। জানা গেছে, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে বাপেক্সের একটি দল গাবতলী উপজেলার কলাকোপার তল্লাতলা গ্রামে অনুসন্ধান শুরু করেছিল। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ বছর অনুসন্ধান চলাকালে মাটি খনন করা হয়। পরে অনুসন্ধানকারী দল আবারও মাটি ভরাট করে পাইপের সুরঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেয়। 
এ এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ শাজাহান আলী জানান, ১৯৮৭ সালে মাটি খননের পর গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা শুনেছিলাম। পরে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ওই এলাকায় ধীরে ধীরে বসতবাড়ি গড়ে উঠেছে। তখন প্রায় ২৭ বিঘা জমির ওপর এ অনুসন্ধান কাজ চলছিল। ওই জায়গায় এখন ঘরবাড়ি ছাড়াও কিছু চাষাবাদের জমি রয়েছে।