আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৩-২০১৬ তারিখে পত্রিকা

দুইটি হাসপাতালের জরিপ

প্রতি সাতজনে একজন কিডনি রোগী

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

বাংলাদেশে প্রধান দুইটি হাসপাতালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনি রোগের চিকিৎসাও এখন সহজলভ্য। আক্রান্তরা বলছেন, চিকিৎসা থাকলেও সেটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিশেষজ্ঞদের মত, চিকিৎসা সরঞ্জামের ট্যাক্স কমানো ও দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থাসহ সরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ নিলে কিডনি রোগের চিকিৎসার ব্যয় অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কিডনি বিভাগের ডায়ালাইসিস সেন্টারে একজন রোগী জানান, ছয় মাস ধরে ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন তিনি। এ রোগীর সঙ্গে থাকা তার সন্তান জানান, চিকিৎসার জন্যে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের। কেউ কেউ আবার খরচ কমাতে রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করান। শুধু ডায়ালাইসিস করানোর জন্য  নির্ধারিত দিনে হাসপাতালে আনেন রোগীকে। তেমনই একজন রাহেলা বেগম। তিনিও জানান, ডায়ালাইসিস, ওষুধ, আনা-নেয়ার খরচ সব মিলিয়ে মাসে তার ব্যয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। 
কিডনি রোগের চিকিৎসায় ব্যয় সম্পর্কে বিএসএমএমইউর কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম সেলিম বলেন, একটা ডায়ালাইসিসি মেশিনের দাম ১০ লাখ টাকা। 
এছাড়া প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বিদেশ থেকে আনা। সরকার ট্যাক্স কমিয়ে দিলে ডায়ালাইসিসের খরচ অনেক কমবে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক সেলিম বলেন, কিডনি সংযোজন হয় বাংলাদেশের ১২টি সেন্টারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এ পর্যন্ত ৪৭৮ জনের কিডনি সংযোজন করা হয়েছে। তিনি জানান, রোগীদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থাও করেছে কিডনি ফাউন্ডেশন ও বারডেমের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান। বারডেম হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল হক মল্লিক বলেন, প্রয়োজন হলে রোগীদের সহায়তার ব্যবস্থা হাসপাতাল থেকেই করা হচ্ছে।  
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশীদ জানান, প্রতি বছর কেবল তাদের হাসপাতালেই গড়ে ৫০ হাজার রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল (বিএসএমএমইউ) আর কিডনি ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে প্রতি সাতজনে একজন কিডনি রোগী। ডায়াবেটিস রোগীর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, আর উচ্চরক্তচাপে যারা ভুগছেন তাদের ১৮ থেকে ২০ শতাংশ ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হন।