শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ১৯৯১ সালে তিনটি বিভাগের ১২০ শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করা হয়নি কোনো সীমানা প্রাচীর। সীমানা প্রাচীর না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব, সংগঠনের কার্যালয়ে চুরি ও রাস্তাঘাটে ছিনতাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠেছে।
ক্যাম্পাস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ছাত্রহল সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো লাশটির গলা নাড়ি দিয়ে পেঁচানো ছিল। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের পেছনে গাজী কালুর মাজারের টিলার পাশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বড়গুল এলাকার ইজ্জত উল্লাহর ছেলে বাচ্চু মিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায়ও পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। একই বছরের ২০ নভেম্বর হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া এক বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। এ সময় বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীদের অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। চলতি বছরের ৯ জানুুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম মিউজিক্যাল সংগঠন ‘রিমের’ বাদ্যযন্ত্র চুরি, ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবন থেকে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি, ১২ জানুয়ারি পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে কম্পিউটার ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরি, ১৭ ফেব্রুয়ারি শারীরিক শিক্ষা ভবনে চুরিসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ শুক্রবার ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের এক ছাত্রীর কাছ থেকে ব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
৩২০ একর আয়তনের এ সবুজ ক্যাম্পাস সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে সুরক্ষিত না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।