আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৩-২০১৬ তারিখে পত্রিকা

অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

মোঃ শাহীদুল্লাহ যুবাইর
| তাসাউফ

‘রব্বি নাজ্জিনি ওয়া আহলি মিম্মা ইয়ামালুন।’
‘হে আমার প্রতিপালক আমাকে রক্ষা করো আর আমার পরিবার-পরিজনকে, তারা যা করছে তা (পাপাচার) থেকে।’
প্রেক্ষাপট : উপরোক্ত দোয়াটি করেছিলেন হজরত লুত (আ.) এক চরম মুহূর্তে। তার সম্প্রদায়ের ঘৃণ্য অপকর্ম, চারিত্রিক নোংরামি ও সমকামিতার অভিশাপ থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছিলেন এ দোয়ার মাধ্যমে। একদিন মেহমান হিসেবে দুইজন সুদর্শন যুবক তার ঘরে প্রবেশ করেছে দেখে তার সমাজের লোকেরা অপকর্মের জন্য তার ঘর ঘেরাও করেছিল। তিনি উপায়ান্তর না দেখে বলেন, ‘তোমরা ইচ্ছা করলে আমার মেয়েদের সঙ্গে বিয়েসূত্রে আবদ্ধ হতে পারো। আমি তাতেও রাজি হবো। তবুও মেহমানদের সামনে আমাকে বেইজ্জতি করো না। তখন লম্পটরা বলেছিল, লুত তুমি তো জান যে, তোমার মেয়েদের নিয়ে আমাদের কোনো কাজ নেই। তদুপরি আমরা কী চাই, তা তুমি ভালো করেই জান।’ এমন চরম মুহূর্তে লুত (আ.) আল্লাহর কাছে উপরোক্ত ফরিয়াদ জানিয়েছিলেন। (সূরা শোয়ারা : ১৬৯)। ততক্ষণে আগন্তুকরা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন, হে আল্লাহর নবী! আমরা আসলে ফেরেশতা। আজ রাতেই আপনার নাফরমান কওমকে ধ্বংস করার জন্য আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এসেছি। বস্তুত এ দোয়ার দরুন আল্লাহ তায়ালা হজরত লুত (আ.) কে রক্ষা করেছিলেন এবং ফেরেশতার মাধ্যমে তার পাপাচারী জনপদকে আকাশে তুলে উল্টিয়ে মাটিতে নিক্ষেপ করেছিলেন। বর্তমান জর্ডানের আকাবা নগর সংলগ্ন সেই অভিশপ্ত জনপদ ডেড-সি বা ‘মৃতসাগর’ নামে কওমে লুতের পাপের ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষী হিসেবে বিদ্যমান।