প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। বলকান রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রিসের সীমান্তে কয়েক হাজার শরণার্থী তীব্র মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইইউর অভিবাসন কমিশনার দিমিত্রিস আভ্রামপাওলুস এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভয়াবহ এ সঙ্কট সমাধানে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬ হাজার শরণার্থীকে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোয় আশ্রয় দেয়া উচিত।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩ হাজার শরণার্থী গ্রিসের সীমান্তে আটকা পড়েছেন। বলকান রাষ্ট্রগুলো তাদের সীমান্তপথ বন্ধ করে দেয়ায় তারা গ্রিস থেকে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোয় যেতে পারছেন না। বলকান রাষ্ট্রগুলো একসময় তাদের এ সীমান্তগুলো খুলে দেবে এ আশায় এসব শরণার্থী গ্রিসের ইদোমিনি গ্রামে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছেন। দিনের পর দিন প্রচন্ড বৃষ্টি, বাতাস ও ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে সীমান্ত খোলার আশায় দিন গুনছেন তারা। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি ও খাবারেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে তাদের। এসব শরণার্থীর দুর্দশা লাঘবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। আভ্রামপাওলুস বলেন, ইইউ বিভিন্ন দেশে শরণার্থীদের আশ্রয় না দিলে ইউরোপের সম্পূর্ণ সিস্টেম ভেঙে পড়বে। গেল সেপ্টেম্বরে গ্রিস ও ইতালিতে থাকা সিরিয়া, ইরাক এবং ইরিত্রিয়ার ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে নিজেদের বিভিন্ন রাষ্ট্রে স্থানান্তরের পরিকল্পনা কাজ হাতে নেয় ইইউ। কিন্তু আজ পর্যন্ত মাত্র ৮৮৫ শরণার্থীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ইইউর কয়েকটি সদস্য দেশ একজন শরণার্থীকে নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেনি। অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বলকান রুট চিরকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বলে ঘোষণার পর এসব কথা বলেন ইইউ’র অভিবাসন কমিশনার আভ্রামপাওলুস। বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান্না মিকল লাইটনার বলেন, বলকান রুট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এ পথ দিয়ে আর কোনো শরণার্থী যেতে পারবেন না।আল জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি