আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৩-২০১৬ তারিখে পত্রিকা

পেসারদের পরীক্ষা নেবেন ব্যাটসম্যানরা

স্পোর্টস ডেস্ক
| খেলা

আধুনিক ক্রিকেটের চওড়া ব্যাটের পাশাপাশি ভারতের মসৃণ উইকেটে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবেই পেসারদের শক্তির পরীক্ষা নিতে তৈরি আছেন সময়ের সেরা হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টির শুরু থেকেই বোলারদের খুব কমই নজরকাড়া সাফল্য পেতে দেখা গেছে। ক্রিকেটের এ ফরম্যাটে বরাবরই শিরোনামে স্থান পাচ্ছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো মাস্টার ব্যাটসম্যানরা। ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের চিরন্তন ভারসাম্য ভেঙে দিচ্ছেন এসব ব্যাটসম্যান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী পেসার ডেল স্টেইন অভিযোগ করেছিলেন, পেস বোলিংটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে টি-টোয়েন্টি। এখানে যেসব ক্রিকেটার রিভার্স সুইংয়ের চেয়ে রিভার্স সুইপ খেলতে পারেন; অর্থ তাদের পেছনেই ছোটে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানও পেসারদের জন্য খুব সুবিধাজনক নয়। শীর্ষ পাঁচ উইকেটধারীর চারজনই ছিলেন স্পিনার। শুধু বিস্ময়করভাবে ব্যতিক্রম ছিলেন অখ্যাত নেদারল্যান্ডস পেসার আহসান মালিক। 
টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ওভারে মাত্র একটি বাউন্সার দিতে পারেন বোলাররা। যেখানে ওয়ানডেতে প্রতি ওভারে দুইটি করে বাউন্সার স্বীকৃত। ফলে পেসারদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, টি-টোয়েন্টিতে এক হাত পেছনে বেঁধে রেখেই খেলতে হচ্ছে তাদের। 
পেসারদের আরও শোচনীয় হয়েছে আধুনিক ক্রিকেটের চওড়া ব্যাটের কারণে। যে ব্যাটে মিস-হিট হলেও বল বাতাসে ভেসে গিয়ে বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে পড়ে। বল ও ব্যাটের ভারসাম্য ফেরানো উচিত বলে মনে করেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটিং তারকা রাহুল দ্রাবিড়। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ‘১৬০ থেকে ১৭০ রানের আশপাশে স্কোর হলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দারুণ জমে ওঠে। তবে কিছু নিয়ম অবশ্যই পরিবর্তন করা দরকার।’ বোলারদের অসুবিধার বিষয়টি তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘আমি মনে করি, ব্যাট ও বলের ভারসাম্যের বিষয়টি সমাধান করা উচিত।’ যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট-বলের ভারসাম্য ফেরানোর বিষয়ে কিছু করা হয়নি, সে কারণে বিশ্বকাপের সাতটি ভেন্যুর গ্রাউন্ডস কিপারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। হিমালয়ের পাদদেশের ধর্মশালা থেকে শুরু করে উষ্ণম-লীয় দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যাঙ্গালুরুতে ভেন্যুগুলো ছড়িয়ে আছে। এসব ভেন্যুর সবক’টিই পেসারদের কবরস্থানে পরিণত হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার রায়ান হ্যারিস।
২০০৯-১৩ পর্যন্ত পাঁচটি আইপিএল আসরে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এ পেসার রয়টার্সকে বলেন, ‘যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উইকেট ফ্ল্যাট হয়, যেখানে বল ধীরগতির ও নিচু হয়ে থাকে। তবে সেখানকার অধিকাংশ উইকেটই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির উইকেট হিসেবে ভালো।’