সুদানের রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বানানো ব্যারিকেডের ওপর পতাকা হাতে বসে আছেন দুই বিক্ষোভকারী ষ র্যাপলার
সুদানের সামরিক কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার সুদানের সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিক্ষোভকারী নেতাদের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সুদানে যৌথভাবে সিভিল-মিলিটারি কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে দুই পক্ষ কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারেনি। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা খাতুর্মে সুদানের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। এর আগে সুদানে সেনা কাউন্সিলকে সরিয়ে সিভিল-মিলিটারি কাউন্সিল ক্ষমতা নেবে বলে মনে করা হয়েছিল।
গণআন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল দেশটির তিন দশকের শাসক ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী। সেই থেকে দেশটিতে একটি অন্তর্র্বর্তীকালীন সেনা কাউন্সিল শাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে সুদানে সামরিক বাহিনী ও বিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি সিভিল-মিলিটারি কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে একমত হন সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু এ কাউন্সিলে দুই পক্ষের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে মতবিরোধের জেরে সোমবার আলোচনা ভেস্তে যায়। এদিকে বিরোধীদের ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়ে মঙ্গলবার সুদানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহানকে সেনা কাউন্সিলের প্রধান করা হয়েছে। এদিকে বিরোধীরা বলছেন, বুরহানের নেতৃত্বাধীন সেনা কাউন্সিলের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বশির সরকারের কোনো পার্থক্য নেই। র্যাপলার, ইয়াহু নিউজ