বাংলাদেশের বিশ্বকাপগামী দলের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে ছিলেন না টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সাকিবের এমন আচরণে স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিরক্ত চেপে রাখতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ফটোসেশনে সাকিবের অনুপস্থিতি সত্যিই দুঃখজনক। সাকিবের কপাল খারাপ, সে বিশ্বকাপ দলের ফটোসেশনে থাকতে পারল নাÑ এমনও মন্তব্য করেন বিসিবি সভাপতি। তবে সংবাদমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা পছন্দ হয়নি তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কড়া ভাষায় সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন শিশির।
ফেইসবুকে নিজের (সাকিব উম্মে আল হাসান) পেইজে গতকাল দুপুরে বেশ বড় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিশির। সেখানে লিখেছেন, ‘সাংবাদিকদের নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে। আমার ধারণা আমাদেরই দোষ। আমরা তাদের ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দিইনি কিংবা তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর কথা বলে তোষামোদ করিনি কিংবা তাদের দলের ভেতরের খবর দিইনি। সাকিব জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে কঠোর পরিশ্রম করে। ছোটবেলা থেকে সে বিকেএসপিতে পরিশ্রম করেছে, শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছে। সে অভিনয় শেখেনি কিংবা মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত। হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ নয়। যাই হোক, সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না। এরপরই মূল প্রসঙ্গে এসেছেন শিশির, ‘এখন আসল কথায় আসি। সাকিব কেন দলের বিশ্বকাপ ফটোসেশনে উপস্থিত ছিল না। প্রথমত, এটা তার ভুল যে সেখানে উপস্থিত হতে পারেনি। তবে সে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেনি। সে বার্তাটি পড়তে ভুল করেছিল। পরে সংশ্লিষ্টদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে সাকিব। আমিও দুঃখিত, সেটার প্রমাণস্বরূপ আমরা কোনো ভিডিও রাখিনি।’ এরপর একটি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব-পতœী। তিনি বলেন, “আরেকটা কথা, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের অনুষ্ঠান ‘বিয়োন্ড দ্য গ্যালারি’ অনুষ্ঠানে দুইজন সাংবাদিক সাকিবের তীব্র সমালোচনা করছিল এবং তার সম্পর্কে অনেক আজেবাজে কথা বলছিল। একজন সাংবাদিক তো বললেন, ‘সাকিব নাকি এটা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য করেছে।’ আরে ভাই, জনপ্রিয়তা সাকিব সবচেয়ে কম চায়। আমার মনে হয়, ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। আপনি তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে জনপ্রিয়তা পেতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসার জন্য লাভজনক, এমনকি আপনার নিজের জন্যও। তার ব্যবহার সম্পর্কেও অনেক কথা হচ্ছে। দলের যে কাউকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন যে মাঠের ভেতরে এবং বাইরে ব্যক্তি হিসেবে সাকিব কেমন! বিশ্বকাপ সন্নিকটে, সাকিবকে তার মতো থাকতে দিন। আপনাদের তো কথা বলার মতো অনেক খোরাক আছে!”