আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

সিরাজগঞ্জ ও কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

দুই জেলায় সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী এবং কক্সবাজারে দুই জলদস্যু নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের খবরÑ 

সিরাজগঞ্জ : পৌর এলাকার রায়পুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে নুরুল ইসলাম মোহন নামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি পৌর এলাকার মাহমুদপুর মহল্লার মৃত হায়াত আলীর ছেলে। সিরাজগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ওয়েদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মাদকের লাখ লাখ টাকার ভাগবাটোয়ারার জেরে মাদক ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে মোহন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মরণনেশা মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।   

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) : কুতুবদিয়া দ্বীপের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পড়াসংলগ্ন লুইজ্জার বিল থেকে গুলিবিদ্ধ দুই জলদস্যুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, লুইজ্জার বিলে দুই দল জলদস্যুর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। থানার টহলরত পুলিশ এসআই মোসলে উদ্দিন বাবলু তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন রাস্তার পাশে দুই আজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছু নিলে সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশ সদস্য পলাশ বড়–য়া গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি কাটা বন্দুক, চারটি রাইফেলের গুলির খোসা, ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। মৃতরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের শাহ আলম সিকদার পাড়ার মৌলভী সৈয়দুল আলমের ছেলে এরফান হোসেন প্রকাশ এরফান মাঝি এবং অন্যজন লেমশীখালী ইউনিয়নের ছামিরা পাড়ার এনামুল হকের ছেলে নুর হোসেন বিল্লাহ। 

দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমেদ চৌধুরী ও লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোছাইন বলেন, নিহত দুইজনই আন্তঃজেলার কুখ্যাত জলদস্যু। তাদের অত্যাচারে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। কুতুবদিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, এরফান বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলের জলদস্যুতা, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। নুর হোসেন তার সহযোগী। এরফান কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীসহ উপকূলীয় থানায় হত্যা, জলদস্যুতা, অস্ত্র, মাদকসহ প্রায় সাতটি মামলার পলাতক আসামি।