রাজশাহীতে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি। সম্প্রতি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জমিতেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। একাডেমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য কাটা হচ্ছিল ৫৬১টি গাছ। তবে পাখিপ্রেমীরা গাছ কাটার করাত থামিয়ে দিয়েছেন। যদিও এরই মধ্যে অনেক গাছ কাটা হয়েছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের বড় বড় রেইনট্রি, মেহগনি, তেঁতুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছে সারা বছরই শোনা যায় পাখিদের কলরব। আর বছরের জুন মাসের দিকে এসে সারা শীত থাকে শত শত শামুকখোল। তখন পাখিদের ডাকেই ঘুম ভাঙে কারাগারের বন্দিদের। কিন্তু নিলামে গাছ বিক্রি করে দেওয়ায় পাখিদের আবাসস্থলের একটা বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাকি যে গাছগুলোতে পাখিদের বসবাস সেসবেও পড়ছিল কুড়ালের কোপ। বিষয়টি মানতে পারেননি স্থানীয় পাখিপ্রেমী ও পরিবেশবাদিরা। কারাগারের পেছনে নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় যেখানে গাছ কাটা হচ্ছিল সেখানে গিয়েই মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান তারা। প্রথম দিকে সাত থেকে আটজন, পরে ২০ থেকে ২৫ জন। তবে তাদের দাবির মুখেই গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে। থেমে গেছে শ্রমিকের করাত।