আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ধসে পড়ার আতঙ্কে শিক্ষার্থী-অভিভাবক

ফেনীর পরিত্যক্ত লেমুয়া সাইক্লোন শেল্টার

জহিরুল হক মিলন, ফেনী
| দেশ

ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রবেশপথেই রয়েছে লেমুয়া সাইক্লোন শেল্টার। প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত এ ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, খসে পড়েছে খুঁটির ইট-সুরকিও। ছাদের নিচের ঢালাই খসে পড়ে স্থানে স্থানে রড বেরিয়ে পড়েছে। এ ভবনের সামনে দিয়ে উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত চলাচল করেন। সাইক্লোন শেল্টারের ছাদ ধসে যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আতঙ্কে থাকেন তারা। অভিভাবকরাও শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ম্রিয়মাণ হয়ে থাকেন। সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয় ফটকের পাশেই সাইক্লোন শেল্টার, অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি অবস্থিত। এখন এর দরজা-জানালাও নেই। ছাদের নিচের অংশজুড়ে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা কিংবা অবস্থান নিতে যেন ভবনে না ঢোকে, সেজন্য টিন ও কাঠে পেরেক ঠুকে দরজা-জানালা আটকে দেওয়া হয়েছে। লেমুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাহেদ আলী বলেন, পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ভবনটিতে কিছুদিন পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালানো হয়। ২০১৭ সালে পোস্ট অফিসটিও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান উচ্চবিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে সাইক্লোন শেল্টারের ভবনটি ভেঙে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে লেমুয়া উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেহাল এ ভবন ভেঙে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। ভবনটি ভাঙতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা জানান, তিনি ফেনীতে নতুন যোগদান করেছেন। ভবনটি পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।