ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মানন্নোয়নসহ যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গাড়ি চলাচলও বেড়ে গেছে। তাই দেখা যাচ্ছে, নতুন নতুন গাড়ির অনুমোদনের কমতি নেই। রাস্তার ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। আর এ থেকে মুক্তি পেতে এবং দ্রুত চলাচলের নিমিত্তে এখন যন্ত্রচালিত দ্বিচক্রযানের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে হেলমেট পরিধানের সংখ্যা বাড়লেও মোটরসাইকেল চালকদের স্বেচ্ছাচারী চলাচল একদম কমেনি। বরং যানজট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের একগুঁয়েমি ও হঠকারী চলাচল, ট্রাফিক নিয়মকানুনের প্রতি অবহেলা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ডান, বাম দিক বলে কোনো কথা নেই, ফাঁক পেলেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এরা যেভাবে চলে তাতে নিজেদের যেমন বিপদের মধ্যে রাখে, ঠিক তেমনি অন্য বড় গাড়ির ক্ষেত্রে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘পাঠাও’সহ ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এত বেড়ে গেছে যে, কোনো সিগন্যালে দাঁড়ালেই কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল নিমিষে পিঁপড়ার মতো আপনাকে ঘিরে রাখবে। তাই এখনও সময় আছে, বিআরটিএ’র উচিত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরার। তা না হলে দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল আরও বেশি হুমকির মধ্যে পড়বে। কারণ মোটরসাইকেল তো ফুটপাতও মানে না। অতএব সাধু সাবধান। হ
ষ ইমদাদুল ইসলাম
অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেপুটি ম্যানেজার
এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, মালিবাগ শাখা, ঢাকা